অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। ছবি: পিটিআই।
অসমের আন্দোলনকারীদের নতুন দল খোলার ভাবনাকে স্বাগত জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ গগৈ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালানো শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক ও ছাত্র সমাজ জানিয়েছে জাতীয় বা আঞ্চলিক কোনও দলই অসমের স্বার্থের কথা ভাবছে না। তাই নতুন দল গড়া প্রয়োজন। গগৈ আজ বলেন, “নতুন দল তৈরি হলে রাজনৈতিক দিক থেকে আমাদের অবশ্যই ক্ষতি। কিন্তু তাও নতুন দলকে স্বাগত জানাব। কারণ মানুষ বুঝেছে অগপ-র মত দলকে দিয়ে রাজ্যের কোনও কাজই হবে না।”
বিজেপি মনে করছে, কংগ্রেসের পৃষ্ঠপোষকতা ও উস্কানিতেই অসমে আন্দোলন চলছে। গগৈয়ের দাবি, কংগ্রেস টাকা দিয়ে বা গাড়ি করে লোক এনে সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদের আয়োজন করেনি। বিজেপি যত শান্তি মিছিল করছে, প্রতিবাদ মিছিলে মানুষ তত বাড়ছে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের প্রশংসা করে গগৈ বলেন, “ওরা দেখিয়েছে পড়া-পরীক্ষার পাশাপাশি আন্দোলনও করা যায়। ছাত্রছাত্রীদের এই শক্তিকে দিল্লি হোক বা অসম, সর্বত্রই বিজেপিকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।”
আজ অখিল গগৈকে আদালত ফের ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠায়। তরুণ গগৈ বলেন, “অখিলদের গ্রেফতার করে আন্দোলন দমন করতে পারেনি বিজেপি। কারণ তা মানুষের আন্দোলন।” বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হীরেণ গোঁহাই দাবি করেন, “আমিও মাওবাদী সাহিত্য পড়েছি। তার মানেই আমি মাওবাদী? অখিলকে বিনা প্রমাণে, জোর করে মাওবাদী সাজিয়ে, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আটকে রাখা অন্যায়। এই সরকার গণতন্ত্র বিদ্বেষী।”
আরও পড়ুন: চন্দা কোছরের ফ্ল্যাট-সহ ৭৮ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে অসমে ১৭টি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছে, ধরা হয়েছে ২৭ জনকে। এ দেশে সব থেকে বেশি। বেআইনি কার্যকলাপ-বিরোধী আইনে অসমে মামলা হয়েছে ৩০৮টি। এটিও দেশে সর্বাধিক। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা স্বীকার করছে, সংশোধনী বিল আসার পর থেকে রাজ্যে পরেশ বরুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফার প্রভাব ফের বেড়েছে। শতাধিক তরুণ-তরুণী আলফায় যোগ দিয়েছেন বা লিংকম্যানের কাজ করছেন। যুব প্রজন্মের মধ্যে দিল্লি বিরোধী মনোভাবও মাথাচাড়া দিচ্ছে।