প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। ফাইল ছবি।
ভোটের মুখে কর্নাটকে তফসিলি সংরক্ষণ ঘিরে জনরোষের আঁচ সরাসরি গিয়ে পড়ল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার উপরে। কয়েকশো বিক্ষোভকারী আজ দুপুরে শিবমোগ্গা জেলার শিকারিপুরাতে ইয়েদুরাপ্পার বাড়ি ও অফিস ঘিরে ফেলেন। এঁরা মূলত তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত বানজারা এবং বোভি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে ইয়েদুরাপ্পার বাড়ির জানলার কাচ ভেঙেছে। জখম একাধিক পুলিশকর্মী। পাল্টা লাঠি চালিয়েছে পুলিশও। এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে তফসিলি জাতির বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণের অনুপাত সম্প্রতি পুনর্বিন্যাস করেছে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সরকার। এ দিন বিক্ষোভরত মূল দুই গোষ্ঠী, বিশেষত বানজারাদের অভিযোগ, ওই পুনর্বিন্যাস তড়িঘড়ি করা হয়েছে। এতে তাদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ আরও কমে যাচ্ছে। বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের সদস্য ইয়েদুরাপ্পার বাড়ি ঘেরাও করে সরকারের ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিই এ দিন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু দ্রুতই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই এ দিনের অশান্তিতে কংগ্রেসের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেও ইয়েদুরাপ্পা জানান, তিনি কংগ্রেস বা অন্য কাউকেই দায়ী করবেন না। তিনি বলেন, ‘‘দু’এক দিনের মধ্যেই বানজারা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাব, যাতে আলোচনায় সমাধান বেরিয়ে আসে। এসপি ও জেলাশাসককে বলেছি, কারও বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া না হয়।’’ কর্নাটকের মোট জনসংখ্যার ২৪ শতাংশ তফসিলি জাতি-জনজাতির মানুষ। স্বাভাবিক ভাবেই আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে তাঁদের অসন্তোষ মাথাচাড়া দিলে চিন্তা থাকবে শাসক বিজেপির।