অশ্বিনী কুমার। ফাইল চিত্র।
আত্মঘাতী হলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর তথা নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল অশ্বিনী কুমার। শিমলার ব্রকহর্স্টের বাড়ি থেকে বুধবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিমলার পুলিশ সুপার মোহিত চাওলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অশ্বনী কুমারের আত্মঘাতী হওয়ার খবরটি দেন। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন সে বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে সূত্রের খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবসাদে ভুগছিলেন সিবিআইয়ের এই প্রাক্তন ডিরেক্টর। পুলিশের দাবি, অশ্বিনী কুমারের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই এই চরম রাস্তাকে বেছে নিলেন বলে ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ পুলিশের ডিজি সঞ্জয় কুন্দ্রু জানিয়েছেন, আত্মহত্যা করার আগে সান্ধ্য ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন অশ্বিনী। তার পর ফিরে এসে বাড়ির প্রার্থনা ঘরে যান। তাঁর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে তখন বাড়িতেই ছিলেন। তাঁরা নীচের ঘরেই বসে ছিলেন। দীর্ঘ ক্ষণ পেরিয়ে গেলেও অশ্বিনী কুমার নীচে আসছেন না কেন তা দেখতে যান পরিবারের সদস্যরা। তখনই তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা।
আরও পড়ুন: ‘গ্রামে থাকতে ভয় পাচ্ছি, চলে যেতে চাই’, বলল হাথরসের নির্যাতিতার পরিবার
ডিজি আরও জানান, অবসাদে অশ্বনী কুমারের আত্মহত্যার প্রসঙ্গ উঠলেও, তাঁর পরিবার কিন্তু সেই তথ্য খারিজ করে দিয়েছে। ফলে সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টরের মৃত্যু নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও সব রকম সম্ভাবনার দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৯৭৩ ব্যাচের আইপিএস অফিসার ছিলেন অশ্বিনী কুমার। ২০০৬-০৮ সাল পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশ পুলিশের ডিজি পদে কাজ করেছেন। ২০০৮-এর অগস্টে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ পর্যন্ত ওই পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৩-তে নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন। অল্প সময়ের জন্য মণিপুরের রাজ্যপালের দায়িত্বও সামলেছিলেন।
গুজরাতে সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় যখন সিবিআই অমিত শাহকে গ্রেফতার করেছিল, সে সময় সিবিআইয়ের ডিরেক্টর ছিলেন এই অশ্বিনী কুমার। আরুষি-হেমরাজ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিনের চাপ বাড়িয়ে এলএসি-তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে ভারত