Allahabad High Court

রাম জন্মভূমি মামলার রায়দান পিছিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়! দাবি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির

ইলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুধীর আগরওয়ালের দাবি, চাপের কাছে নতিস্বীকার করে তিনি যদি এই মামলার রায় না দিতেন, তবে ২০০ বছরেও এই মামলার রায় ঘোষণা করা হত না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইলাহাবাদ শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ২০:৪৮
Share:

ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

রাম জন্মভূমি সংক্রান্ত মামলার রায়দান পিছিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল! এমনই দাবি করলেন ইলাহাবাদ হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুধীর আগরওয়াল। তাঁর আরও দাবি, চাপের কাছে নতিস্বীকার করে তিনি যদি এই মামলার রায় না দিতেন, তবে ২০০ বছরেও এই মামলার রায় ঘোষণা করা হত না।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের মেরঠে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “এই মামলার রায় দিতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমায় নানা ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল, যাতে আমি এই মামলার রায়দান পিছিয়ে দিই।” তবে কারা তাঁকে ‘চাপ’ দিয়েছিল, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। ওই বিচারপতি এ-ও জানান যে, তাঁর পরিবারের সদস্যরাও তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, যাতে তিনি নানা কারণ দেখিয়ে এই মামলার রায়দান পিছিয়ে দেন।

২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইলাহাবাদ হাই কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ তাদের রায়ে জানায়, অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জায়গা সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালার মধ্যে। এই তিন সদস্যের বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এস ইউ খান, সুধীর আগরওয়াল এবং ডিভি শর্মা। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে জানায় অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় রামমন্দির তৈরি হবে আর সরকার মুসলিম পক্ষকে বিকল্প হিসাবে ৫ একর জায়গা দেবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement