Supreme Court

Foreign Funds: অনিয়ন্ত্রিত বিদেশি অর্থ বিপজ্জনক, কোর্টে কেন্দ্র

এফসিআরএ সংশোধনীতে বিদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বলবৎ করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১ ০৮:১১
Share:

সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে নোয়েল হার্পার এবং জীবনজ্যোতি ট্রাস্ট। প্রতীকী ছবি।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির অনিয়ন্ত্রিত অর্থ দেশের পক্ষে বিপদের। সুপ্রিম কোর্টে আজ এই যুক্তি দিয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি বিদেশি তহবিল নিয়ন্ত্রণ আইন (এফসিআরএ) সংশোধন করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা হয়েছে। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি।

Advertisement

এফসিআরএ সংশোধনীতে বিদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ বলবৎ করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে নোয়েল হার্পার এবং জীবনজ্যোতি ট্রাস্ট। আজ শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেন, অ-লাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি যে বিদেশি অর্থ পায়, তার জোগান নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে দেশের পক্ষে তা বিপদের হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিতে আসা বিদেশি অনুদান যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তা হলে তা দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। সরকার সেই বিদেশি তহবিলকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। ওই অর্থগুলি আসে মাওবাদীদের সহায়তার জন্য অথবা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য।’’ একই সঙ্গে তুষার মেহতার বক্তব্য, ‘‘গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রায়ই দেখা যায়, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আসা অর্থ মাওবাদীদের প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়।’’

আবেদনকারীদের যুক্তি, করোনা কালে দেশে যত কাজ হয়েছে সরকার তার অধিকাংশই করিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে দিয়ে। তা হলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাজ নিয়ে সরকার সন্দেহ প্রকাশ করেছে কেন! আবেদনকারীরা আরও বলেছেন, অ-লাভজনক সংস্থা সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অপরাধী, দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করে এই ধারণা ভুল।

Advertisement

উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যে কাজের জন্য বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানো হচ্ছে, তা যেন সেই কাজেই ব্যবহৃত হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে এফসিআরএ-র উদ্দেশ্য সফল হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement