খাবারের ভিতর থেকে বেরচ্ছে নোট। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
দিল্লি বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা আটক করল সিআইএসএফ। আর যে ভাবে এই সব মুদ্রা পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, তা দেখে নিরাপত্তা কর্মীরা রীতিমতো চমকে গিয়েছেন। এক ব্যক্তিকে মুদ্রা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া নোটগুলি শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছেন সিআইএসএফ আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাওয়ার বিমান ধরতে তিন নম্বর টার্মিনালে উপস্থিত হন এক ব্যক্তি। সিআইএসএফ জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম মুরাদ আলি, বয়স বছর পঁচিশ। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সহারানপুর জেলায়। মুরাদ টুরিস্ট ভিসায় দুবাই যাচ্ছিলেন। এদিন তার হাবভাব দেখেই সন্দেহ হয় নিরাপত্তা কর্মীদের।
মুরাদকে আলাদা করে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। প্রথমে তার কাছে কিছু পাওয়া না গেলেও, তার কথাবার্তা আচার আচরণে সন্দেহ আরও জোরালো হয় নিরাপত্তা কর্মীদের। এবার চাপ দিতেই আসল কথা বেরিয়ে পড়ে। একে একে বেরতে থাকে নোটের তাড়া।
আরও পড়ুন: দিনে দুপুরে গাড়িতে ‘ডাকাতি’ দুই হাতির, কেউ কিচ্ছু বলার সাহস দেখাচ্ছে না!
নিরাপত্তা কর্মীরা দেখেন খাসির মাংসের টুকরোর মধ্যে, বিস্কুটের সিল করা প্যাকেট, চিনা বাদামের খোলার মধ্যে থেকে একে একে বেরতে থাকে বিদেশি নোট। মোট পাঁচ রকমের নোট বার হয়, সৌদি রিয়াল, কাতারি রিয়াল, কুয়েতি দিনার, ওমানি রিয়াল ও ইউরো। যাদের ভারতীয় মুদ্রায় মোট মূল্য ৪৫ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে সিআইএসএফের মুখপাত্র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেক্টর জেনারেল হেমেন্দ্র সিংহ। বুধবার ফেসবুকে এই নোট উদ্ধারের তিনটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যামেরার সামনেই স্ত্রীকে চুলের মুঠি ধরে মারধর পুলিশ কর্মীর!
মুরাদ এর আগেও একাধিক বার দুবাই ও অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করেছে। ফলে তার হাত দিয়ে এমন পাচার আগেও হয়ে থাকতেপারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তবে সে মূল পাচারকারী নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে এগুলি কেউ দিয়ে দুবাই পৌঁছে দিতে বলেছিল বলেই ধারণাসিআইএসএফ আধিকারিকদের।
দেখুন সেই তিন ভিডিয়ো: