ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় আস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপস্থিত আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবে এই আস্থা ভোটের মাধ্যমে।
আস্থা ভোটের আগে বিধানসভায় প্রথমে ভাষণ দেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণাণ। তার পর চম্পই সোরেন নিজের বক্তব্য জানান। হেমন্তও ভাষণ দিয়েছেন বিধানসভায়।
সোমবার ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় চম্পই সোরেন।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসনের সংখ্যা ৮১। তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা হল ৪১। ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। এ ছাড়া বিজেপির ২৫ জন, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়নের তিন জন এনসিপি এবং সিপিআই (এমএল)-এর এক জন করে বিধায়ক রয়েছেন। সিপিআই (এমএল) সমর্থন রয়েছে শাসক জোটের পক্ষে। তিন জন নির্দল বিধায়কও রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়।
জমি জালিয়াতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। বর্তমানে রয়েছেন ইডি হেফাজতে। আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি রাঁচীর বিশেষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েছে। আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেয়ে সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পৌঁছে গিয়েছেন হেমন্ত।
চম্পই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের দিনেই শুক্রবার রাতে শাসক জোটের ৩৭ জন বিধায়ককে রাঁচী থেকে হায়দরাবাদের বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে রিসর্টে ছিলেন ওই বিধায়কেরা। পরে রবিবার আবার রাঁচীতে ফিরে এসেছেন তাঁরা।