Tripura Flood

ত্রিপুরার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬, পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি, কমতে শুরু করেছে নদীগুলির জলস্তর

গত ১৯ অগস্ট থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী, সিপাহজলা, পশ্চিম ত্রিপুরা, খোয়াই এবং উনাকোটিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪১
Share:

আগরতলায় প্লাবিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। ছবি: পিটিআই।

ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। বেশরি ভাগ নদীরগুলির জলস্তর কমছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে সিপাহিজলা জেলায় এখনও গোমতী নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। রাজ্যের বন্যায় রবিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬। শুধু বন্যার জলই নয়, ভূমিধস এবং জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের বন্যাকবলিত আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায়।

Advertisement

গত ১৯ অগস্ট থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী, সিপাহজলা, পশ্চিম ত্রিপুরা, খোয়াই এবং উনাকোটিতে। বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি কমে গিয়েছে। তবে শনিবার গোমতী এবং দক্ষিণ ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে ৫৫৮টি ত্রাণশিবির বানানো হয়েছে। সেখানে ১ লক্ষ ২৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যায় ১৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে খবর, এক হাজারেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং হাইওয়েগুলিও কোথাও কোথাও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, পাঁচ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। বন্যাকবলিত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

Advertisement

এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে বহু জায়গায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement