বন্যার জল নামছে। কলার ভেলায় চেপেই ঘরে ফেরার চেষ্টা। রবিবার অসমের মরিগাঁও জেলায়। ছবি: রয়টার্স।
বিহারে বন্যায় আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এ নিয়ে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ জনে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬৯ লক্ষ মানুষ। অন্য দিকে অসমে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
আজ যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে চার জন মধুবনী জেলার বাসিন্দা। এক জন দ্বারভাঙ্গার। এখনও পর্যন্ত সীতামঢ়ী জেলায় মৃতের সংখ্যা বেশি। তার পরে তালিকায় রয়েছে মধুবনী, আরারিয়া, শেওহর, পূর্ণিয়া, কিষেণগঞ্জ, সুপৌল, পূর্ব চম্পারণ ও সহরসা। মুজফ্ফরপুর ও কাটিহারে এখনও কারও মৃত্যু হয়নি।
গত কাল উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী লক্ষ্মণেশ্বর রায় যথাক্রমে সীতামঢ়ী ও মধুবনী জেলা ঘুরে দেখেন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের রাজ্যের কোষাগার থেকে সবচেয়ে আগে সাহায্য করতে হবে।’’ মৃতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে টানা তিন দিন বৃষ্টি না হওয়ায় দ্রুত নামছে ব্রহ্মপুত্র-সহ বাকি নদীগুলির জল। তাই অসমে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। এ দিনের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যের ১৮টি জেলায় ৩৮ লক্ষ ৩৭ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। ১৭১টি ত্রাণ শিবিরে আছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৫। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি দাঁড়াল ৬৭ জনে। এখন শুধু যোরহাট ও ধুবুড়িতে ব্রহ্মপুত্র বিপদসীমার উপরে বইছে। কাজিরাঙায় ১৪টি গন্ডার-সহ ১৮২টি প্রাণী মারা গিয়েছে।
অসমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে পরিস্থিতি এখনও শোচনীয়। বিশেষত দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড়ের সমতল ও নীচু অংশগুলি জলের তলায়। খোলা হয়েছে ৪২টি ত্রাণ শিবির। রাজাবালা, ফুলবাড়ি, মহেন্দ্রগঞ্জে জল অত্যন্ত ধীরে নামছে। বন্যায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।