দিল্লিতে কুয়াশার দাপট। ছবি: পিটিআই।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডা, দোসর কুয়াশা— এই দুইয়ের দাপটে ট্রেন এবং বিমান পরিষেবা ব্যাহত উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে। সবচেয়ে বেশ প্রভাব পড়েছে দিল্লিতে। শুক্রবার সকালে কুয়াশার কারণে রাজধানীর বেশির ভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে গিয়েছে। দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে যাওয়ায় বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দুশোরও বেশি বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছে।
সকাল ৮টায় পালম বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা শূন্য ছিল। সফদরজং বিমানবন্দরে দশ্যমানতা ৫০ মিটারে নেমে আসে। ফলে এই দুই বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিনে তাপমাত্রা নামার পাশাপাশি কুয়াশার দাপটও থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবার বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। ৬ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কুয়াশার দাপট থাকবে রাজধানী জুড়ে।
কুয়াশার কারণে গত কয়েক দিন ধরেই বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। স্পাইসজেট, ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানগুলি গড়ে ৬ মিনিট দেরিতে দিল্লি বিমানবন্দরে নামছে। আবার ৪৭ মিনিট দেরিতে ছাড়ছে বলে ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর তথ্যে দাবি করা হয়েছে। আবার খারাপ আবহাওয়া কারণে অমৃতসর এবং গুয়াহাটিগামী এবং এই দুই শহর থেকে আসা স্পাইসজেটের বিমানগুলিও দেরিতে ওঠানামা করছে। দিল্লি, অমৃতসর, লখনউ, গুয়াহাটি, বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিগোর যে বিমানগুলি যাতাযাত করছে সেগুলিতেও প্রভাব পড়ছে।
ট্রেন চলাচলেও কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে। দিল্লি থেকে ২৪টি দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা এক্সপ্রেস, গোরক্ষধাম এক্সপ্রেস, বিহারক্রান্তি এবং শ্রমশক্তি এক্সপ্রেসের মতো বেশ কিছু ট্রেন। কুয়াশার দাপট বেশ কয়েক দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা পড়বে দিল্লি, রাজস্থানের কোটা, বুন্দি, সিকর, ঝুনঝুনু, চুরু, শ্রীগঙ্গানগর এবং টঙ্কে। অন্য দিকে, পঞ্জাবের অমৃতসর, গুরদাসপুর, তরণ তারণ, কাপুরথালা। এ ছাড়াও হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র, পঞ্চকুলা এবং যমুনানগরেও কুয়াশার দাপট চলবে।