দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে অমর জওয়ান জ্যোতির অনির্বাণ শিখা মিশল জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের শিখায়। সেনা জওয়ানরা এই অগ্নিশিখাকে বহন করে আনেন। মিশিয়ে দেন জাতীয় যুদ্ধসৌধের সঙ্গে।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রয়াত সেনাদের স্মৃতিতে ইন্ডিয়া গেটের কাছে অমর জওয়ান জ্যোতির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। তখন থেকে জ্বলছিল এই অনির্বাণ শিখা। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ৪০০ মিটার দূরে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের অনির্বাণ শিখার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে অমর জওয়ান জ্যোতির সেই অনির্বাণ শিখা। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিখা বহন করে যুদ্ধ স্মারকে আনেন বাহিনীর জওয়ানরা। শুক্রবার বিকেলে দুই শিখা মিশে গেল। রইল কিছু বিতর্কের ধোঁয়া।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে প্রতিবাদে সরব হন বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার? আরও এটা কি শহিদদের আত্মবলিদানের অমর্যাদা নয়? আরও প্রশ্ন ওঠে তবে অমর জওয়ান জ্যোতির শিখা কি নিভছে? এ নিয়ে মোদী সরকারের ব্যাখ্যা, অমর জওয়ান জ্যোতির অনির্বাণ শিখা নিভছে না। তাকে কেবল জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে প্রজ্জ্বলিত শিখার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।