Allahabad High Court

স্কুলের সামনে মদের দোকান, মত্তদের তাণ্ডব! বন্ধ করতে চেয়ে আদালতে গেল পাঁচ বছরের খুদে

স্কুলের সামনে মদের দোকান রয়েছে। অভিযোগ, তা ‘সমাজবিরোধীদের আখড়া’। ওই দোকানের কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে স্কুলের খুদে ছাত্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্কুলের সামনেই রমরমিয়ে চলছে মদের দোকান। দিনরাত মদ বিক্রি হচ্ছে। মদ্যপরা মদ খেয়ে গোলমালও করছেন হামেশাই। এতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মদের দোকানটি বন্ধ করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল পাঁচ বছরের এক শিশু। সে ওই স্কুলেরই ছাত্র।

Advertisement

কানপুরের আজ়াদ নগর এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা। মামলাকারীর নাম অথর্ব। পাঁচ বছর বয়সি এই ছাত্র আজ়াদ নগরের শেঠ জয়পুরিয়া স্কুলে পড়ে। স্কুলটির পাশেই রয়েছে মদের দোকান। অভিযোগ, সেই দোকান থেকে যাঁরা মদ কিনতে আসেন, তাঁরা অনেকেই মত্ত অবস্থায় নানা গোলমাল করেন স্কুলের সামনে। ছোট ছোট পড়ুয়াদের সামনেই চলে তাণ্ডব। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ। ওই দোকানটিকে ‘সমাজবিরোধীদের আখড়া’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে আবেদনপত্রে।

ওই স্কুলের এক খুদে ছাত্র দোকানটির সমস্যার কথা জানিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। মদের দোকানটি স্কুলের সামনে থেকে সরিয়ে দিতে বলেছে সে। বিচারপতি মনোজ কুমার গুপ্ত এবং বিচারপতি ক্ষিতিজ শৈলেন্দ্রের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি চলছে। বাবার মাধ্যমে আবেদনপত্র আদালতে জমা দিয়েছে মামলাকারী। আবেদনে সে লিখেছে, ‘‘মদের দোকানটি তার সহপাঠী এবং এলাকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।’’

Advertisement

মামলায় দোকান কর্তৃপক্ষের আইনজীবী জানান, মদের দোকানটি আগে থেকেই এলাকায় ছিল। সেটি অনেক পুরনো। পরে ওই এলাকায় বেসরকারি স্কুলটি তৈরি করা হয়েছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, এলাকায় স্কুল তৈরি হওয়ার পর মদের দোকানটির লাইসেন্স পুরনায় চালু করার অনুমতি দেওয়া উচিত হয়নি। রাজ্যকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি তলব করতেও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। কেন স্কুল খোলার পরেও মদের দোকানের লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ হল, লিখিত আকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে। আগামী ১৩ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তার মধ্যেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement