—প্রতীকী ছবি।
পাঁচ বছরের কন্যাসন্তানের প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল লিভারের (যকৃৎ)। হন্যে হয়ে লিভার দাতা খুঁজছিলেন বাবা-মা। অবশেষে পাওয়া গেল। তিন বছরের এক শিশুর ‘উপহার’ দেওয়া লিভারে প্রাণ বাঁচল পাঁচ বছরের শিশুর। পাশাপাশি, ওই তিন বছরের শিশুর কর্নিয়া দানের কারণে দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন আরও এক যুবক।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ বছর বয়সি ওই শিশু কিডনির সমস্যা নিয়ে বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি ছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে ‘ব্রেন ডেড’ বলে ঘোষণা করেন। এর পরই ওই শিশুর সমস্ত অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা-মা।
অন্য দিকে, সুরাতের পাঁচ বছরের শিশু কন্যা রাহি পারকিয়া লিভার জনিত সমস্যার কারণে মুম্বইয়ের অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাহির লিভার প্রতিস্থাপন না করা গেলে তাকে বাঁচানো যাবে না। তাই লিভার খুঁজে পেতে বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করছিলেন রাহির বাবা-মা। তখনই ওই তিন বছরের শিশুর অঙ্গদানের খোঁজ পান তাঁরা।
বান্দ্রার ওই হাসপাতালেই এর পর রাহির অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। ১০ জুলাই অস্ত্রোপচার করে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে রাহি সুস্থ রয়েছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। রাহির চিকিৎসক অনুরাগ শ্রীমলের কথায়, ‘‘সীমিত সংখ্যক দাতার কারণে শিশুর অঙ্গদান বিরল। কিন্তু রাহি ভাগ্যবতী। সময়মতো লিভার প্রতিস্থাপন হওয়ায় ও নিজের প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ওই তিন বছরের শিশুর মা-বাবাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ যে ওঁরা অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’’
ওই তিন বছরের শিশুর কর্নিয়া দানের কারণে এক জন দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছেন বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।