শিশু-সহ পরিবারের পাঁচ জনের রহস্য-মৃত্যু

ঘটনাটি গণহত্যার নাকি গণ-আত্মহত্যার, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা 

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দশ বছরের শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃতদেহ মিলল মঙ্গলবার সকালে, হায়দরাবাদ শহরের উপকণ্ঠে নরসিংহি এলাকায়।

Advertisement

ঘটনাটি গণহত্যার নাকি গণ-আত্মহত্যার, সে বিষয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার সন্দীপ শান্ডিল্য আজ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আউটার রিং রোডে দাঁড়ানো একটি গাড়ির মধ্যে মিলেছে ৩০ বছর বয়সি প্রভাকর রেড্ডি ও তাঁর দশ বছরের শিশুপুত্রের দেহ। দু’কিলোমিটার দূরেই, শঙ্করপল্লি এলাকায় একটি ঝোপের মধ্যে তিন মহিলার দেহ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের প্রভাকরেরই স্ত্রী মাধবী (২৬), বড় বোন লক্ষ্মী (৪২) ও লক্ষ্মীর কিশোরী মেয়ে বলে শনাক্ত করেছেন আত্মীয়রা।

Advertisement

দুই অকুস্থলেই মিলেছে কীটনাশকের চড়া গন্ধ। তদন্তে পুলিশের ধারণা, ঝোপে তিন মহিলার দেহ ফেলে দিয়ে গাড়িটা কিছু দূর এগিয়ে দাঁড়ায়। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পিতা-পুত্র। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ঘটনাটি আত্মহত্যারই। নিশ্চিত হতে ময়না-তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।

পরিবারটি সঙ্গারেড্ডি জেলার আমিনপুরের বাসিন্দা। ঘটনায় পুলিশ রেড্ডিদের সঙ্গে সম্পর্কিত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাঁদের মধ্যে এক জন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। তিনি জানিয়েছেন, প্রভাকরই তাঁকে ফোন করে খবর দেন যে, সোমবার দু’টো নাগাদ তাঁরা জলপ্রপাত দেখতে বেরিয়েছিলেন, সন্ধ্যার পরে অবশ্য ফিরেও আসেন।

কিন্তু তার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না পরিবারটির। এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজ মামলাও রুজু হয়েছিল।

রেড্ডিরা কোনও আর্থিক সঙ্কটে পড়ে এই চরম পদক্ষেপ করলেন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, আত্মীয়দের দাবি, রেড্ডি পরিবারে অর্থসঙ্কট ছিল না। কোনও শত্রুও নেই তাঁদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement