‘মৈত্রী’ শব্দের অর্থ বন্ধুত্ব। দেবভাষার সেই অর্থকে বাস্তবজীবনে সার্থক করে তুলতে উদ্যোগী দিল্লির পঞ্চকন্যা। তারা সেতুবন্ধন করছে দুই ‘বঞ্চিত’-দের মাঝে।
এক দিকে অনাথাশ্রমের শিশুরা। অন্য দিকে বৃদ্ধাশ্রমের নিঃসঙ্গরা। দু’দিকের শূন্যতাকে মুছিয়ে দিতে মেলবন্ধন করছে মৈত্রী।
উদ্যোগের কারিগর নয়ডা অ্যামিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পঞ্চকন্যা। অনন্যা গ্রোভার, অনুষ্কা শর্মা, আরিফা, বনিষ্কা যাদব এবং বসুধা সুধীন্দ্র। তাঁদের স্বপ্ন, প্রিয় জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন মুখগুলোর নিঃসঙ্গতা দূর করা।
গত বছর ঠাকুমা ও ঠাকুরদাকে অল্প দিনের ব্যবধানে হারিয়েছে অনন্যা গ্রোভার। ঠাকুমার প্রয়াণে ঠাকুরদার একাকিত্বে অনন্যা কষ্ট পেত।
স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে কথায় উঠে এসেছিল অনন্যার উদ্বেগ। সেখান থেকেই জন্ম ‘মৈত্রী’ অ্যাপের।
এই অ্যাপের মাধ্যমে অনাথাশ্রমের কচিকাঁচারা এবং বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধবৃদ্ধারা এক সঙ্গে কিছুটা হলেও সময় কাটাতে পারবে।
দু’পক্ষের সঙ্গযাপনে একদিকে শিশুরা পাবে বয়স্কদের স্নেহ। পাশাপাশি প্রবীণরাও উপভোগ করবেন বাৎসল্য।
অ্যাপ নির্মাতা পঞ্চকন্যারা নিজেদের বলে, টিম মৈত্রী। তাদের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে। অ্যাপটি সক্রিয় হয়েছে জুলাই থেকে। ইতিমধ্যে ডাউনলোড হয়েছে এক হাজারের বেশি বার।
যারা স্বেচ্ছাসেবী হতে ইচ্ছুক বা দান করতে চান, তাঁরা ডাউনলোড করেন। অনাথাশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষরাও ডাউনলোড করছেন। এখনও অবধি এই অ্যাপের আওতায় আছে নথিভুক্ত সাতটি অনাথাশ্রম এবং তেরোটি বৃদ্ধাশ্রম।
পাঁচ কিশোরীর উদ্যোগ বলে হেলাফেলার নয়। টিম মৈত্রী-তেও আছে সিইও, সিএফও, সিএমও-র মতো পদ। এই উদ্যোগ তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলছে। বিশ্বাস পাঁচ বান্ধবীর।