প্রতীকী ছবি।
গোয়া বিধানসভা ভোটে নানা দলের প্রতিযোগিতার পাশাপাশি নজর কাড়ছেন পাঁচ দম্পতি। এঁদের সকলেই ভোটে লড়ছেন এবং সকলেই যদি জেতেন, তা হলে ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভার এক চতুর্থাংশ দখল করবেন তাঁরাই! বিজেপি দুই দম্পতিকে প্রার্থী করেছে, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় একটি করে দম্পতি রয়েছেন। পঞ্চম দম্পতির চরিত্র মিশ্র! অর্থাৎ স্বামী লড়ছেন বিজেপি টিকিটে, স্ত্রী দাঁড়িয়েছেন নির্দল!
বিজেপি নেতা, বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে দাঁড়িয়েছেন ভালপোই আসনে, তাঁর স্ত্রী দেবিয়া দাঁড়িয়েছেন পোরিয়েম আসনে। এই বারই তাঁর প্রথম ভোটে দাঁড়ানো। ওই আসনে কংগ্রেস আবার টিকিট দিয়েছিল প্রবীণ নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রতাপসিন রানেকে, যিনি সম্পর্কে দেবিয়ার শ্বশুর, বিশ্বজিতের বাবা। প্রতাপ অবশ্য লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দাবি করছেন, পারিবারিক চাপ নয়, বয়সজনিত কারণেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তবে কংগ্রেসের কাছে এটা একটা ধাক্কা বটেই। বিজেপির আর এক দম্পতি প্রার্থী আতানাসিও মনসেরাত্তে এবং তাঁর স্ত্রী জেনিফার। আতানাসিও দাঁড়িয়েছেন পানজিম আসনে, জেনিফার তলেগাঁও-এ। দু’জনেই আগে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন, ২০১৯-এ বিজেপিতে এসেছেন। বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত কাওলেকর তাঁর পুরনো আসন কুয়েপেম থেকেই লড়ছেন। কিন্তু সাঙ্গুয়েম আসনে দল তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীকে টিকিট দেয়নি। সাবিত্রী তাই নির্দল দাঁড়াচ্ছেন। ২০১৭-য় এঁরাও কং১গ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। সাবিত্রী হেরে যান। চন্দ্রকান্ত জেতেন এবং ২০১৯-এ বিজেপিতে যান।
বিজেপি তাঁর স্ত্রীকে টিকিট দেয়নি বলে কংগ্রেসে এসেছেন মাইকেল লোবো। তিনি লড়ছেন ক্যালাঙ্গুট থেকে, স্ত্রী ডেলাইলা সিওলিম আসনে। দম্পতি প্রার্থী তৃণমূলেও। আলদোনা আসনে লড়ছেন কিরণ কান্ডোলকর, তাঁর স্ত্রী কবিতা থিভিমে। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি থেকে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।