—প্রতীকী ছবি।
মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্র— পাঁচটি শিশু জানে না কী ভাবে তারা পৌঁছেছে। তারা শুধু জানত, নতুন স্কুলে ভাল করে লেখাপড়া শেখানো হবে। জানত না, পথের শেষে তাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে নির্যাতন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাশিক থেকে নির্যাতিত ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মণিপুরের পাঁচ শিশুকে। তাদের মধ্যে এক জনের শরীরে ছিল এয়ারগানের ক্ষত। শুরু হয়েছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে লেখাপড়া শেখানো হবে সন্তানদের— বাবা-মাকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মণিপুর থেকে ওই পাঁচ শিশুকে আনা হয়েছিল নাশিকে। একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুলে রাখা হয়েছিল। কয়েক দিন পরেই ওই পড়ুয়াদের বাবা-মা অভিযোগ করেন, সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পরেই তৎপর হয় মণিপুর সরকার। যোগাযোগ করা হয় মহারাষ্ট্র পুলিশ ও সামাজিক কল্যাণ দফতরের সঙ্গে।
পুলিশের সহায়তায় শিশুগুলিকে উদ্ধার করে সামাজিক কল্যাণ দফতরের আধিকারিকেরা। চিকিৎসার পরে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পুলিশের একাংশের দাবি, শিশু পাচার চক্রেরও যোগ থাকতে পারে।