২০২৫ সালেই ভারতের প্রথম ব়্যাপিড ট্রেন চালু করার টার্গেট। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
দিল্লি থেকে মেরঠ, চার ঘণ্টার পথে যেতে এক ঘণ্টারও কম সময় লাগবে আগামী দিনে। ২০২৫ সালেই ভারতের প্রথম ব়্যাপিড ট্রেন চালু করার টার্গেট। শুধু গতি নয়, এই ট্রেন দেখতেও হবে আন্তর্জাতিক মানের। শুক্রবার সেই রিজিওনাল ব়্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম (আরআরটিএস) ট্রেনের ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক।
এই পরিষেবা মিলবে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মেরঠ করিডরে। এমনিতে এই পথ ট্রেনে যেতে সময় লাগে ৪ ঘণ্টার মতো। সেটা কমে ৪৫ থেকে ৫৫ মিনিট হয়ে যাবে। জানানো হয়েছে, ৮২ কিমির এই পথে ঘণ্টায় ১৮০ কিমি পর্যন্ত বেগে ছুটবে ব়্যাপিড ট্রেন। ২০২২ সাল নাগাদ শুরু হবে ট্রেন তৈরির কাজ। রেল করিডর তৈরির কাজ শুরু হবে ২০২৩ সালে। আশা করা হচ্ছে, পরিষেবা মিলবে ২০২৫ সাল নাগাদ।
এই প্রসঙ্গে আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র জানিয়েছেন, ছয় বগির এই ট্রেনের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে দিল্লির বিখ্যাত লোটাস টেম্পলের আদলে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বগিগুলি তৈরি হবে গুজরাতের সাভলিতে বম্বার্ডিয়ারের প্ল্যান্টে। ওজন হালকা করার জন্য বগিগুলি তৈরি হবে স্টেনলেস স্টিল দিয়ে। প্রতিটি বগিতে যাত্রীদের ওঠানামার জন্য থাকবে ছ’টি করে দরজা। তবে একটি থাকবে বিজনেস ক্লাস বগি। সেটায় দরজা হবে চারটি। বিমানের মতো আরাম দিতে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থাও হবে অন্য রকম। টু বাই টু আসনের পাশাপাশি যাত্রীদের পা রাখার জন্যও থাকবে আলাদা জায়গা। মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থেকে ওয়াইফাই— যাবতীয় আধুনিক ব্যবস্থা তো থাকবেই।
শুক্রবার ব়্যাপিড ট্রেনের ফার্স্ট লুক প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনয়কুমার সিংহ। তিনি দাবি করেন, ‘‘এই পরিষেবা আগামী দিনে পরিবহণ ক্ষেত্রে এক বেঞ্চমার্ক তৈরি করবে। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নতির সহায়ক হবে।’’
আরও পড়ুন: ‘অপরাধ নয় যৌন পেশা’, মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের
আরও পড়ুন: কৃষি বিলের প্রতিবাদে ভারত বন্ধ, দেশ জুড়ে বিক্ষোভে কৃষকরা