Amit Malviya

Amit Malviya: ‘মুখ্যমন্ত্রীদের জেল’, আক্রমণে তৃণমূলও

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ শানাতে আজ রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের একটি টুইট তুলে ধরেন মালব্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২২ ০৬:৪১
Share:

ফাইল চিত্র।

সরকারি নিয়োগে দুর্নীতির কারণে দেশের অনেক মুখ্যমন্ত্রীকেই জেলে যেতে হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কি সেই দশা হতে পারে-সেই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বিজেপি-র আইটি শাখার প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়। প্রসঙ্গত প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে ১০ বছরের জেল হয়েছিল হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার। অনেকেই মনে করছেন, নিজের টুইটের মাধ্যমে সেই ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলতে চেয়েছেন মালব্য। জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বলেছেন, বিজেপির ঔদ্ধত্য দেখে বোঝা যাচ্ছে ভোটে হেরেও শিক্ষা হয়নি।

Advertisement

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আক্রমণ শানাতে আজ রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের একটি টুইট তুলে ধরেন মালব্য। টুইটের ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, একটি আলোচনাসভায় ধনখড় রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকে ‘মাদার অব অল স্ক্যাম’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের রায় উল্লেখ করে ধনখড় বলেছেন, ‘হাইকোর্ট বলছে, যারা পরীক্ষা দেননি তারা পর্যন্ত চাকরি পেয়েছেন। ধনখড়ের কথায়, নিয়োগের প্রশ্নে এর থেকে ছোট মাপের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় অনেক মুখ্যমন্ত্রীকে কয়েক বছরের জন্য জেলে যেতে হয়েছে।’ মালব্যের মতে, ধনখড়ের ওই বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের।

জবাবে ধনখড়ের নাম না করে পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘অনেক রাজনীতিকই আছেন যারা পরবর্তী কালে রাজ্যপাল হয়েছেন তাঁরা সন্ত্রাসবাদীদের টাকা নিয়েছেন জৈন হাওয়ালা মামলায়। অথচ ধরাও পড়েননি শাস্তি পাননি। আমার কথাও তাঁদের মাথাব্যথার কারণহতে পারে।’’

Advertisement

মমতাকে আক্রমণের পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ইস্তফা দাবি করে সরব হয়েছেন অমিত। তাঁর কথায়, ‘‘এই দুর্নীতির শিকড় এতটাই গভীরে যে পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন তারপরেও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশকে তাঁর পদ থেকে সরানো হল না সেই জবাব কি দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?’’

মন্ত্রী ফিরহাদের আরও বক্তব্য, ‘‘ধনখড় কে, মানুষ তা দেখেছেন। মমতা মানুষের সার্টিফিকেট নিয়ে বারবার ক্ষমতায় ক্ষমতায় আসেন ধনখড়দের সার্টিফিকেট নয়। বিজেপির জানা উচিত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই মমতার সব থেকে বড় সম্পদ। বিজেপি বরং আয়নায় নিজের মুখ দেখে নিক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement