ছবি: সংগৃহীত।
ট্রেনে আবার বিভ্রাট! ঘটনাস্থল সেই ওড়িশার বালেশ্বর। এ বার একটি কয়লাবোঝাই মালগাড়িতে আগুন-আতঙ্ক ছড়াল। শনিবার সকালে বালেশ্বরের রূপসা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই মালগাড়ির একটি ওয়াগনে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ডাকা হয় দমকলকে। পরে আগুন নেভানো হয়। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। ‘ওড়িশা টিভি’ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকেই ওই স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল মালগাড়িটি। শনিবার সকালে ধোঁয়া দেখতে পান কয়েক জন যাত্রী। তাঁরাই বিষয়টি রেলের নজরে আনেন। কী কারণে আগুন তা স্পষ্ট নয়। শুক্রবার রাতে ওড়িশার খুরদার বালুগাঁও স্টেশনেও দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িতে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনার অভিঘাতে একটি মালগাড়ির কামরার উপরে উঠে গিয়েছিল করমণ্ডলের ইঞ্জিন। দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি ট্রেন বেলাইন এবং ট্রেনে আগুন-আতঙ্কের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মঙ্গলবার ওড়িশার ব্রহ্মপুরে সেকেন্দরাবাদ-আগরতলা এক্সপ্রেসে আগুন-আতঙ্ক ছড়ায়। একই দিনে উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার ভরওয়াড়ী স্টেশনের কাছে ধোঁয়া দেখা যায় শিয়ালদহ-অজমের এক্সপ্রেসের একটি কামরায়। বৃহস্পতিবার ওড়িশার নৌপাড়া জেলায় দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসেও আগুন-আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। গত সোমবার ওড়িশার বারগড় জেলায় লাইনচ্যুত হয়েছিল একটি মালগাড়ি। ডুংরি চুনাপাথর খনি এবং বারগড়ে একটি সিমেন্ট কারখানার মধ্যে ন্যারো গেজ লাইন রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, ওই লাইনেই বেলাইন হয়েছিল মালগাড়িটি। ওই রেলপথের সঙ্গে ভারতীয় রেল যুক্ত নয়। মঙ্গলবার রাতে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে রান্নার গ্যাসবোঝাই মালগাড়ির দু’টি ওয়াগন বেলাইন হয়ে যায়। কেউ হতাহত হননি। বার বার ট্রেনে এমন বিপত্তির ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।