—প্রতীকী চিত্র।
যাঁরা আক্রান্ত, তাঁদের নামেই এফআইআর! পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবারের অশান্তির ঘটনায় বহিরাগত গুন্ডাদের হাতে মার খাওয়া ছাত্রছাত্রীদের একাংশের নামেই গেরুয়া বাহিনী জামিনঅযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছে বলে অভিযোগ। ছাত্র সংগঠনের তরফে বুধবার ক্যাম্পাসে হরতাল পালিত হয়েছে।
২৩শে জানুয়ারি দুপুরে গেরুয়া পোশাক পরিহিত একদল বহিরাগত ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে চড়াও হয়। ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের একাংশকে মারধরও করে। পরে পুলিশ এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষীরা আহত পড়ুয়াদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, ঘটনার পরে আহত পড়ুয়াদের নামেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। এফআইএর-এ পাঁচ জন ছাত্রের নাম রয়েছে বলে ছাত্র সংগঠনের আজকের প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০ তারিখ। ২২শে জানুয়ারি অর্ধদিবস সরকারি ছুটি ঘোষণার বিরুদ্ধে ওই দিন ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংগঠনের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। বিবৃতিতে সই করেছিলেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মনকপ নকওহাম এবং সাধারণ সচিব সায়ন্তন চক্রবর্তী। তার পরের দিন রাতেই ইনস্টিটিউটের দরজার বাইরে গেরুয়া পোশাক পরিহিত একটি বাহিনী ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি-সহ জমায়েত হয় এবং ছাত্রদের হুমকি দিয়ে যায়। ২২শে ইনস্টিটিউটের সান্ধ্য শো-এ আনন্দ পটবর্ধন পরিচালিত ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছিলেন পড়ুয়ারা। এর পর ২৩শে দুপুরে ফের বহিরাগত গেরুয়া বাহিনী নিরাপত্তারক্ষীদের টপকে ক্যাম্পাসে ঢোকে এবং পড়ুয়াদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়ারা উভয়েই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ প্রথমত তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই সঙ্গে এফআইএর-এ বহিরাগত আক্রমণের বিষয়টিকে লঘু করে দেখিয়েছেন। এখন হামলাকারীদের তরফে পাল্টা এফআইআর করে যে ভাবে আক্রান্ত পড়ুয়াদেরই নিশানা করা হচ্ছে, তার পিছনে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলেই মনে করছে ছাত্র সংগঠন।