বাবা রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ। ফাইল চিত্র।
করোনিল ওষুধ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বাবা রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ-সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল রাজস্থানের জয়পুরে।
শুক্রবার জয়পুরের জ্যোতিনগর থানায় বাবা রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ, বিজ্ঞানী অনুরাগ বারষ্ণে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স(নিমস)-এর চেয়ারম্যান বলবীর সিংহ তোমর এবং ডিরেক্টর অনুরাগ তোমরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। জ্যোতিনগর থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) এফআইআরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এফআইআরে বলা হয়েছে, বাবা রামদেব-সহ মোট ৫ জন করোনিল নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা (৪২০ ধারা)-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ফেয়ার’ সরল, মন থেকে ‘লাভলি’ সরলেও ভাল হত, মনে করছে টলিউড
দেশে যখন কোভিড-১৯ এর ওষুধ নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, সেই সময় পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ দাবি করে, তাদের তৈরি ওষুধ ‘করোনিল’-এর প্রয়োগে কোভিড আক্রান্তরা সেরে উঠছেন। পতঞ্জলির এই দাবি শোরগোল ফেলে দেয় গোটা দেশে। আয়ুষ মন্ত্রক তড়িঘড়ি ওই ওষুধ সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য চেয়ে নোটিস পাঠায় পতঞ্জলিকে। সেই সঙ্গে এই ওষুধ সংক্রান্ত সমস্ত রকম বিজ্ঞাপন বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক।
যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন জয়পুর নিমস-এর চেয়ারম্যান বলবীর সিংহ। তিনি দাবি করেন, “কোভিড আক্রান্ত রোগীদের উপর পরীক্ষা চালানোর সমস্ত রকম অনুমতি ছিল আমাদের। ১০০ জন রোগীর উপরে এই ওষুধের পরীক্ষা করার পর দেখা গিয়েছে ৬৯ শতাংশ রোগী তিন দিনে সেরে উঠেছেন। আর ১০০ শতাংশ সেরে উঠেছেন সাত দিনের মধ্যে।”
পতঞ্জলি এবং নিমস-এর এই দাবিকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। দেশে প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কী ভাবে করোনার মোকাবিলা করা যায়, কোন ওষুধ দিয়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়, এ নিয়ে যখন দেশে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, তখন এমন দাবি বিভ্রান্তিকর বলেই অভিযোগ তুলেছেন অনেকে।
দু’দিন আগে এই একই অভিযোগ তুলে বিহারের এক আদালতে রামদেব এবং বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, রামদেবরা এ ধরনের দাবি করে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলার শুনানি আগামী ৩০ জুন। বিহারের মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই জয়পুরে ফের মামলা হওয়ায় বিপাকের মুখে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ।