অবিলম্বে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে বকেয়া জমা দিতেও নির্দেশ। ফাইল চিত্র
টাটা গোষ্ঠী রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিয়ে নিচ্ছে। তাই এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের আগে সব কেন্দ্রীয় দফতরকে পুরনো ধার মিটিয়ে ফেলতে হবে। একই সঙ্গে আর ধারে এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট কাটা যাবে না বলেও কেন্দ্রের সব মন্ত্রককে ও দফতরকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কারণ, নতুন দিনের এয়ার ইন্ডিয়া আর কেন্দ্রীয় সরকারকে ধারে টিকিট কাটার সুবিধা দেবে না।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী দেশের ভিতরে বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত সরকারের খরচে বিমান যাত্রা করতে হলে এয়ার ইন্ডিয়াকেই বাছতে হয়। যে কোনও শ্রেণির টিকিটের জন্য এয়ার ইন্ডিয়াকে বাছা নিয়ম। সরকারি খরচে এলটিসি-র সুবিধা নিলেও এয়ার ইন্ডিয়াতে সফর করতে হয়। বুধবার অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ সরকারি খরচ সংক্রান্ত দফতর ‘ডিপার্টমেন্ট অব এক্সপেন্ডিচার’ যে নির্দেশিকা সব মন্ত্রক ও দফতরে পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সরকার এয়ার ইন্ডিয়া বেসরকারি হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের হাতবদল প্রক্রিয়া চলছে। নতুন দিনে এয়ার ইন্ডিয়া ঠিক করেছে ধারে টিকিট দিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে সব মন্ত্রক ও বিভাগকে বলা হচ্ছে, তারা যেন এয়ার ইন্ডিয়ার যাবতীয় ধার শীঘ্রই মিটিয়ে দিক। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এখন এয়ার ইন্ডিয়া থেকে যাবতীয় টিকিট নগদে কাটতে হবে। প্রতিটি মন্ত্রক ও দফতরের অধীনে থাকা সব বিভাগের কাছেই এই নির্দেশ পাঠাতে বলা হয়েছে। নির্দেশের কপি পাঠানো হয়েছে।
অর্থমন্ত্রকের নির্দেশিকা।
প্রসঙ্গত, প্রায় ন’দশক আগে টাটা গোষ্ঠীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম উড়ান সংস্থা। দেশের প্রথম পাইলট জে আর ডি টাটা প্রতিষ্ঠিত সেই টাটা এয়ারলাইন্সের নাম বদলে ১৯৪৬ সালে হয় এয়ার ইন্ডিয়া (এআই)। স্বাধীনতার পরে তার দখল চলে গিয়েছিল সরকারের হাতে। এখন আবার তা টাটা গোষ্ঠীর হাতে যাচ্ছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের জন্য টাটা সন্সের জমা দেওয়া ১৮ হাজার কোটি টাকার দরপত্রটি গ্রাহ্য হয়েছে। এর ফলে ৬৮ বছর পরে ফের এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পাচ্ছে টাটারা।