নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
নদীই বেঁধে রেখেছে ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলিকে। তাই নদী সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা ও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বাণিজ্য, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, সংরক্ষণ, দক্ষতা বিকাশের পাঁচটি দিক মাথায় রাখা দরকার বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
গুয়াহাটিতে আসিয়ান দেশগুলি ও জাপানকে নিয়ে চলা নদী-৩ সম্মেলনে দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতায় নির্মলা জানান, কেন্দ্রের তরফে উত্তর-পূর্বে যোগাযোগ পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে রেল, সড়ক ও বিমান ক্ষেত্রে ৯টি বিরাট প্রকল্প রূপায়ণের কাজ চলছে। কেন্দ্রের নীতি প্রতিবেশীকে আগে গুরুত্ব দেওয়া। তাই প্রকল্পগুলির সুবিধে পড়শি দেশও পাবে। তিনি জানান, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, বরাকে ৫০০০ কিলোমিটার নাব্য জলপথ তৈরির কাজ চলছে। ফলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে জলপথে যোগাযোগ সুদৃঢ় হবে। উত্তর-পূর্বে বড় ৯টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ফেনি নদীর উপরে মৈত্রী সেতু, অসম ও অরুণাচলের মধ্যে বগিবিল সেতু তৈরি হয়েছে। ২২০০ কোটি টাকার ১৫টি বিমান যোগাযোগ প্রকল্প, ৭৪ হাজার কোটি টাকার ২০টি রেল প্রকল্প, ৫৮ হাজার কোটি টাকার চার হাজার কিলোমিটার সড়ক প্রকল্প, জাতীয় সড়ক বরাবর ৪জি নেটওয়ার্ক, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ ও সব পঞ্চায়েতে ব্রডব্যান্ড প্রকল্পের কাজ চলছে।
এ দিকে বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাংসদ তারানা হালিম আঞ্চলিক সহযোগিতা ও জলবণ্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের নাম না করেও বলেন, ‘‘জলবন্টনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি নিয়ে জটিলতা রয়েছে সেগুলির দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। বিশেষত বাংলাদেশ যখন কম অংশ পাচ্ছে, তার অন্তত ন্যায্য ভাগটুকু পাওয়া উচিত।’’
তাঁর কথায়, ‘‘বাংলাদেশ ও ভারত পুরনো বন্ধু। জলের ন্যায্য ভাগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতে বিভিন্ন আপত্তি উঠছে। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীই অতি-সক্রিয়। আমাদের বিশ্বাস রয়েছে তাঁদের উপরে। আশা করি ভারতের প্রধানমন্ত্রী সমাধানসূত্র বার করবেন।’’
নির্মলা বলেন, ‘‘ভারত-নেপালের মধ্যে ৬০০০ নদী, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫০টির বেশি নদী রয়েছে। তাই জলপথ পরিকাঠামোয় বিশেষ নজর দিচ্ছে ভারত সরকার।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।