প্রতীকী ছবি।
সর্ষের তেল-সহ রান্নার অন্যান্য তেলেরও দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় অবশেষে নড়েচড়ে বসল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোজ্য তেলের দাম, উৎপাদন ও আমদানির উপরে রোজকার ভিত্তিতে নজর রাখা হচ্ছে। যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
মোদী জমানায় পেট্রল-ডিজেলের দাম অনেক দিন ধরেই লাগামছাড়া। গত তিন-চার মাস ধরে বাড়তে বাড়তে এ বার সর্ষের তেলও ২০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলায় তার সরাসরি আঁচ পড়েছে আমজনতার রান্নাঘরে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমে অশোধিত ও শোধিত ভোজ্য তেলের আমদানির উপরে শুল্ক কমিয়েছিল। কিন্তু তাতেও দাম কমেনি এতটুকুও। উল্টে যে হারে বাড়ছে, তাতে উৎসবের মরসুমে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেই আশঙ্কা। সরকারের বক্তব্য, দেশে যে পরিমাণ ভোজ্য তেল ব্যবহার হয়, তার শতকরা ৬০ ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধীদের বক্তব্য, মোদী সরকার আইনে সংশোধন করে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজের মতো ভোজ্য তেলকেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তারই মুনাফা লুটছে এ দেশে ভোজ্য তেল উৎপাদন ও বিপণনকারী সংস্থাগুলি। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই শিল্পপতিরা মোদীর ঘনিষ্ঠ। তাই তাদের বেপরোয়া মুনাফার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, পেট্রল-ডিজেলের থেকে রান্নার গ্যাস ও রান্নার তেলের দাম বাড়লে আমজনতার উপরে অনেক বেশি চাপ পড়ে। বিশেষত বাড়ির মহিলাদেরও ক্ষোভ তৈরির আশঙ্কা। সেই কারণেই সরকারের শীর্ষস্তর থেকে এ দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। তার পরে খাদ্য সচিবের নেতৃত্বে কৃষিজ পণ্যে নজরদারির জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রক কমিটি তৈরি হয়েছে। এই কমিটি কৃষিজ পণ্যের দাম, জোগানের উপরে নজর রাখবে। ক্রেতাদের পাশাপাশি চাষি ও শিল্পের স্বার্থও বজায় রাখতে হবে। এই কমিটি এখন প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করছে। পাশাপাশি আজ কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, সর্ষে দানার উৎপাদন গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ লক্ষ মেট্রিক টন বেড়েছে। গত বছর ৯১ লক্ষ মেট্রিক টন সর্ষে দানা উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর তা বেড়ে ১০১ লক্ষ মেট্রিক টন হয়েছে।