Karnataka

ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ এবং গোহত্যা বিরোধী আইন প্রত্যাহার? কংগ্রেস-বিজেপি সংঘাত কর্নাটকে

গত ১৫ জুন সিদ্দারামাইয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ আইন খারিজ করার বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছিল। জানানো হয়েছিল, পরবর্তী বিধানসভা অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩ ১৫:২১
Share:

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ফাইল চিত্র।

বিজেপি জমানার ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ আইন এবং গোহত্যা বিরোধী আইন বাতিলের উদ্যোগ ঘিরে অশান্ত হতে পারে কর্নাটক বিধানসভার বাদল অধিবেশন। বিজেপির কর্নাটক পরিষদীয় দলের তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার বিধানসভায় এ সংক্রান্ত কোনও বিল আনলে সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে।

Advertisement

গত বছর কর্নাটক বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ বিল পাশ করিয়েছিল তৎকালীন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বাসববাজ বোম্মাইয়ের সরকার। ২০২০ সালের শীতকালীন অধিবেশনে তৎকালীন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার সরকার পাশ করিয়েছিল গোহত্যা বিরোধী বিল। দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছিল, সংখ্যালঘুদের নিশানা করতেই পদ্ম-শিবির ওই পদক্ষেপ করছে।

গত ১৫ জুন সিদ্দারামাইয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্মান্তরণ প্রতিরোধ আইন খারিজ করার বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছিল। কর্নাটকের আইন এবং পরিষদীয় মন্ত্রী এইচকে পাটিল জানিয়েছিলেন, বিধানসভা অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে। প্রসঙ্গত, গত বছর বিল পাশের সময়ই তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল কিন্তু সেই সময় থেকেই কংগ্রেস তার বিরোধিতা করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, ওই বিল আসলে জনবিরোধী, অমানবিক, অসাংবিধানিক, গরিব বিরোধী এবং দানবিক।

Advertisement

অন্য দিকে, বিজেপি শিবিরের যুক্তি, জোর করে, ভুল বুঝিয়ে, লোভ দেখিয়ে, প্রতারণা বা বিয়ের ফাঁদ পেতে ধর্মান্তরণ ঠেকানোর উদ্দেশ্যেই ওই আইন কার্যকর করা হয়েছিল। এই আইনে বহু গ্রেফতারির ঘটনায় ঘটেছিল কর্নাটকে। একই ভাবে ‘কর্নাটক প্রিভেনশন অফ স্লটার অ্যান্ড প্রিজ়ারভেশন অফ ক্যাটল্ অ্যাক্ট’-কে ঢাল করে বহু মুসলিমকে বিজেপি সরকারের আমলে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ওই আইনটিও পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement