—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
১৮ মাসের সন্তানকে খালে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কনিষ্ঠ কন্যাকে ফেলার পর বড় কন্যাকেও ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কিন্তু শিশুটি কান্না জুড়ে দেওয়ায় তাকে ফেলে রেখে মোটরবাইক নিয়ে চম্পট দেন তিনি।
রাস্তা দিয়ে তখন এক দল পুণ্যার্থী (কাঁওয়ারি) যাচ্ছিলেন। তাঁরা লক্ষ করেন, এক ব্যক্তি কিছু একটা খালের মধ্যে ছুড়ে ফেললেন। তার পরই বাইক নিয়ে দ্রুত বেগে সেখান থেকে চলে গেলেন। সন্দেহ হওয়ায় খালের জলে উঁকি মারতেই চমকে ওঠেন পুণ্যার্থীরা। তঁরা দেখেন একটি শিশু জলের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। আর সময় নষ্ট না করে পুণ্যার্থীদের মধ্যে এক জন খালে ঝাঁপ দেন। তার পর শিশুটিকে উদ্ধার করেন। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বলকার সিংহ। তিনি পেহোয়া জেলার বাসিন্দা। তাঁর দুই কন্যাসন্তান। তাদের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তানটিকেই খালে ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। এক পুণ্যার্থী তাকে উদ্ধার করে রাওগড় গ্রামের কাঁওয়ারিয়া কেন্দ্রের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। তার পর শিশুটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।
জ্যোতিসার থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মহীন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বলকার সিংহের দ্বিতীয় পক্ষের দুই কন্যাসন্তান। দুই সন্তানকেই খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কনিষ্ঠ সন্তানকে খালে ফেলার পর স্ত্রীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পাশাপাশি হুমকি দেন, এ বিষয়ে কেউ জিজ্ঞাসা করলে তিনি যেন বলেন, সন্তানদের দত্তক দিয়েছেন। বড় সন্তানকে খালে ফেলতে গেলে বিপত্তি বাধে। সে কান্নাকাটি জুড়ে দেওয়ায় তাকে ফেলে রেখে পালান বলকার। পুলিশ ওই শিশুটিকেও উদ্ধার করেছে। বলকারের স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই বলকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ভাইকেও।