—প্রতীকী চিত্র।
কন্যার চিতাভস্ম দেখে জ্বলন্ত চিতাতেই ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন বাবা। ১৪ বছরের ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিছু দিন নিখোঁজ থাকার পর কয়লা চুল্লিতে এবং পুকুর থেকে তার দেহাংশ মিলেছে। সেই দৃশ্য সহ্য করতে পারেননি বাবা। পরে কন্যার শেষকৃত্যের সময় তার চিতায় ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ঘটনাটি রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২ অগস্ট থেকে নাবালিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অভিযোগ, তাঁকে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। তার পর দেহের কিছু অংশ কয়লার চুল্লিতে জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিছু অংশ পুকুরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেহাবশেষ উদ্ধারের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে দাবি, গ্রামের মাঠে গরু চরাতে গিয়েছিল কিশোরী। সেখান থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গণধর্ষণের পর তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। দেহ পুড়িয়ে এবং জলে ভাসিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছিল অভিযুক্তেরা। এ দিকে, নিখোঁজ কিশোরীর খোঁজে গ্রামের নানা এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। ৪ অগস্ট কিশোরীর আধপোড়া দেহ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। দেহের বাকি অংশ মেলে কয়লার চুল্লিতে।
কন্যার ঝলসানো দেহ দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বাবা। শেষকৃত্যের সময় জ্বলন্ত চিতায় ঝাঁপ দেন তিনি। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। বিপদও কেটে গিয়েছে।
ভিলওয়াড়ার এসপি আদর্শ সিধু এই ঘটনাটিকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করেছেন। মূল অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন। এসপি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় মোট ১০ জন জড়িত। তাঁদের মধ্যে চার মহিলাও রয়েছে। প্রত্যেককে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।