— প্রতীকী ছবি।
ছত্তীসগঢ়ে ভোট মিটতেই আরও ঘোরালো ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’ বিতর্ক। এ বার অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বেটিং অ্যাপ দুর্নীতিতে সরাসরি অভিযুক্তের বাবার। মঙ্গলবার সুশীল দাসের দেহ উদ্ধার হয় রাজ্যের দুর্গ জেলার একটি গ্রাম থেকে। কী করে মৃত্যু হল তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
মহাদেব বেটিং অ্যাপের বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাতে নগদ চালাচালির অভিযোগ রয়েছে অসীম দাসের বিরুদ্ধে। ইডি অসীমকে গ্রেফতারও করেছে। এ বার তাঁরই বাবা ৬২ বছরের সুশীলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। পুলিশ সূত্রে খবর, গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন সুশীল। মঙ্গলবার দুর্গের আন্ডা থানা এলাকার আছোটি গ্রামের একটি কুয়ো থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে একে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছেন দুর্গের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ রামগোপাল গর্গ। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।
রবিবার ফল প্রকাশিত হয় ছত্তীসগঢ় বিধানসভা ভোটের। সে দিন বিকেল থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সুশীলের। তিনি স্থানীয় একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর ইডি অসীম এবং ছত্তীসগঢ় পুলিশের কনস্টেবল ভীম সিংহ যাদব— এই দু’জনকে গ্রেফতার করে। ইডি দাবি করে, সেই সময় অসীমদের কাছ থেকে নগদ ৫ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি আরও দাবি করে, জেরায় অসীম স্বীকার করে নিয়েছেন, মহাদেব বেটিং অ্যাপের মালিকরা ছত্তীসগঢ়ের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। যদিও বঘেল এই অভিযোগ শুরু থেকেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
বেটিং অ্যাপ বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয় যখন ইডির হাতে ধৃত অসীম আগের দাবি থেকে সরে এসে দাবি করেন, তিনি কোনও টাকাই দেননি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল কিংবা অন্য কোনও রাজনীতিককে। সঙ্গে তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ যে, তদন্তকারীরা তাঁর অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে ইংরেজিতে লেখা নথিতে সই করিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে জেল থেকেই ইডির ডিরেক্টরকে একটি চিঠিও দেন অসীম।
এই পরিস্থিতিতে ভোটে পালাবদল হয় ছত্তীসগঢ়ে। তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বেটিং অ্যাপকাণ্ডে অভিযুক্ত অসীমের পিতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজ্যে।