—প্রতীকী চিত্র।
আট বছরের শিশু এবং তার বাবাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ পড়শি যুবকের বিরুদ্ধে। বাড়িতে তাঁদের দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির কিশোরী কন্যা নিখোঁজ। সে একটি অডিয়ো বার্তায় বাবা এবং ভাইয়ের খুনি হিসাবে ওই পড়শির নাম জানিয়ে গিয়েছে। তার পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবককেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তাদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের। মৃত ব্যক্তি রেলে চাকরি করতেন। বাড়ি থেকে তাঁর এবং তাঁর শিশুপুত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির দেহ পাওয়া গিয়েছে বাড়ির ফ্রিজ়ের ভিতর থেকে। বাবা এবং ছেলে, উভয়ের দেহেই ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ওই বাড়িতে থাকত ১৫ বছরের কিশোরী কন্যাও। পুলিশ জানিয়েছে, বছরখানেক আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। এ বারও তাঁর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাকার মোবাইলে একটি অডিয়োবার্তা পাঠিয়েছে কিশোরী। সেখানে প্রতিবেশী যুবকের নাম করে বলা হয়েছে, ‘‘মুকুল আমার বাবা এবং ভাইকে খুন করেছে।’’ নিজের অবস্থান নিয়ে কোনও কথা জানায়নি সে। কাকা ওই বার্তা নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তার পরেই উদ্ধার হয় দু’জনের দেহ। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত খুন করে কিশোরীকে অপহরণ করেছে কি না, কিশোরী নিজের ইচ্ছাতেই তাঁর সঙ্গে কোথাও চলে গিয়েছে কি না, খুনের নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, জানার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তের সন্ধান পেলেই অনেক তথ্য জানা যাবে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকেও বেশ কিছু তথ্য মিলতে পারে।