স্ত্রী ও মেয়েকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ফারুক আবদুল্লার। শ্রীনগরে নিজের বাসভবনে। ছবি: পিটিআই
দীর্ঘ সাত মাসের কিছু বেশি দিন বন্দি থাকার পরে অবশেষে মুক্তি পেলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। গত ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর ফারুক আবদুল্লার বন্দি করা হয়। ওই মাসেরই ১৭ তারিখে তাঁর উপর জন নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনে বিনা বিচারে দু’বছর পর্যন্ত কাউকে আটকে রাখা যায়। বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লাগাতার নিশানা করছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। অবশেষে শুক্রবার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে ফারুক আবদুল্লার মুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্র দফতর। তবে আরও দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, মেহবুবা মুফতি এবং ফারুকের পুত্র ওমর আবদুল্লা এখনও বন্দি রয়েছেন। তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে এখনজ়ও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ দিন মুক্তি পাওয়ার পরে ফারুক বলেন, ‘‘আমি মুক্ত। আশা করি, বাকি নেতারাও দ্রুত মুক্তি পাবেন। তার পরেই পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক হবে।’’ তাঁর মুক্তির জন্য সরব সাংসদ-সহ সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই প্রবীণ নেতা।
ফারুক, ওমর মেহবুবাদের বন্দি করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই প্রতিবাদ করেছেন বিরোধীরা। তার পরেও ছাড়া হয়নি কাউকেই। বরং ডিসেম্বরে ফারুকের বন্দিদশার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়।
অবিলম্বে ফারুক আবদুল্লার মুক্তি চেয়ে সম্প্রতি ৮টি বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যৌথ আবেদন জানিয়েছিল। সেই সঙ্গে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতির মুক্তির দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
তিন বার জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ফারুক আবদুল্লা। ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে পাঁচ বার সাংসদও হয়েছেন। বর্তমান লোকসভাতেও সদস্য তিনি। এ দিন মুক্তির পরে সংসদের অধিবেশনে দ্রুত যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন ফারুক।