গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অভিযোগ ছিল ‘বিভ্রান্তিকর’ টুইটের। কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর, সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাইয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগেই এফআইআর দায়ের হয়েছিল পাঁচ রাজ্যে। সেই এফআইআর চ্যালেঞ্জ করে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তারুর, রাজদীপরা। মঙ্গলবার আরও কয়েক জন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলাগুলি একসঙ্গে করে শুনানি হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর।
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন এক কৃষকের মৃত্যু নিয়ে টুইট করেছিলেন তারুর, রাজদীপ-সহ বেশ কয়েক জন নেতা, সাংবাদিক। নেটিজেনদের অনেকেও সরব হয়েছিলেন ওই ঘটনা নিয়ে। ওই সব টুইটের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন দিল্লি হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী চিরঞ্জীব কুমার। তার ভিত্তিতেই সাংবাদিক-নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ। এ ছাড়া আরও চারটি রাজ্যেও এফআইআর হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। তারুর, রাজদীপ ছাড়াও এফআইআর-এ নাম রয়েছে মৃণাল পাণ্ডে, জাফর আঘা, পরেশ নাথ, অনন্ত নাথ এবং বিনোদ কে জোসের মতো সাংবাদিকদের। এই সাংবাদিকরা মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বুধবার একই পথে হাঁটলেন তারুর, রাজদীপও।
প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্র্যাক্টর র্যালিতে যোগ দিয়ে মৃত্যু হয়েছিল নবরীত সিংহের। ওই সময় অনেকেই দাবি করেছিলেন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দিল্লির আইটিও এলাকায় ট্র্যাক্টর নিয়ে প্রচণ্ড গতিতে একটি ব্যারিকেডে ধাক্কা মারেন নবরীত। সেই ট্র্যাক্টর উল্টে মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও গুলির ক্ষত মেলেনি।
আইনজীবী চিরঞ্জীব কুমার অভিযোগপত্রে লিখেছিলেন এই সাংবাদিক, নেতারা নবরীতের মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন। দিল্লি পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে টুইট করে গন্ডগোলে উস্কানি দিয়েছেন। নবরীতের মৃত্যুকে হত্যা বলে টুইট করেছেন। তার জেরেই এই সব নেতা, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হয় দেশদ্রোহ, সংঘর্ষে প্ররোচনা, বিদ্বেষ ছড়ানো, শান্তি ভঙ্গ, অপরাধের ষড়যন্ত্র, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার মতো অভিযোগ।