অখিলেশ সিংহ যাদব এবং যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখে সোমবার ভারত বন্ধকে সমর্থন করে স্বর তুলেছিলেন বিরোধীরা। আজ এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদব এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, “গোটা দেশ জুড়ে ভারত বন্ধের সাফল্য শাসক বিজেপিকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে। তাদের নেতা-সমর্থকরা বাড়ির বাইরে আসার সাহসটুকু পাননি। বিজেপি শুধু কিছু পুঁজিপতির হয়ে কাজ করছে। ভোটে জেতার জন্য বিজেপির ঋণ রয়েছে তাঁদের কাছে।”
বিজেপি বাস্তবে কতটা ‘ভয়’ পেয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিরোধীদের মধ্যে ঐক্যের অভাব এখনও পর্যন্ত যোগী আদিত্যনাথকেই সুবিধাজনক জায়গায় রেখেছে বলে মনে করছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা। প্রধান বিরোধী দল এসপি-কে ভোট প্রচারের জন্য মাঠে নামতে দেখা যায়নি। এসপি সূত্রের খবর, অখিলেশ নবরাত্রির পর প্রতিটি জেলায় সফর শুরু করবেন। অন্য দিকে, এক মাস ধরে যোগী এবং তাঁর টিম বিভিন্ন পঞ্চায়েতে গিয়ে কর্মিসভা করছেন। যোগী নিজে প্রতিদিন হয় কর্মিসভা করছেন, নয়তো জনসভায় মেরুকরণের কৌশল নিচ্ছেন।
গত সপ্তাহেই যোগী এমন একটি সভায় বাদশাহ আকবরের প্রসঙ্গ তুলে রানা প্রতাপকে ‘মহান’ আখ্যা দিয়েছিলেন। আগেও একাধিক বার আকবরের সঙ্গে প্রতাপের তুলনা করে তিনি হিন্দু মনে আবেগ তৈরি করতে চেয়েছেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কাল তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিজেপির এক বিধায়ক রামেশ্বর শর্মা এক জনসভায় হিন্দুত্ব প্রসঙ্গে বলেন, “যোধা বাঈ এবং আকবরের মধ্যে কোনও ভালবাসার সম্পর্ক ছিল না। আসলে যখন মানুষ ক্ষমতার কাঙাল হয়ে পড়ে, তখন এ রকম বিবাহ করে। এই সব লুটেরাদের থেকে সতর্ক থাকুন।” সামাজিক মাধ্যমে তাঁর এই ভিডিয়োটি বিতর্ক তৈরি করেছে। পরে শর্মা রাজপুতদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, তিনি মোগলদের ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ সম্পর্কে বলতে চেয়েছিলেন।