ফাইল চিত্র।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে সংসদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিল কৃষক সংগঠনগুলি। তবে এ বার আর ট্র্যাক্টরে নয়, পায়ে হেঁটে।
দিল্লির সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলের দিকে আপাতত তাকিয়ে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে ফলের দিকে নজর তাঁদের। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ধাক্কা খেলে, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নতুন করে জোরালো হবে বলে কৃষক নেতারা মনে করছেন। বুধবার দিল্লিতে কৃষক সংগঠনগুলির মঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চা জানিয়েছে, মে-র প্রথমার্ধেই কৃষকরা সংসদ অভিযান করবেন। চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সূত্রের খবর, ভোটের ফল দেখেই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। আজ সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতা গুরনাম সিংহ চান্দুনি জানিয়েছেন, শুধু কৃষক নয়, শ্রমিক, মহিলা, কর্মহীনরাও এই আন্দোলনে যোগ দেবেন।
মোদী সরকারের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলি নভেম্বরে সংসদের সামনে দু’দিনের ধর্নার ডাক দিয়েছিল। কিন্তু দিল্লিতে কৃষক-মিছিল ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তার পরেই দিল্লির সীমানায় আন্দোলন শুরু হয়। এর পরে কৃষকরা ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু সেই মিছিল থেকে লালকেল্লায় অশান্তি, হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় কৃষক আন্দোলন ধাক্কা খায়।
এ বার তাই কৃষক নেতারা জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে পায়ে হেঁটে সংসদ যাত্রা হবে। ২৬ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয়, সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখা হবে। বিক্ষোভকারীরা কোনও ভাঙচুর করবেন না। কেউ ভাঙচুর চালালে, মোর্চাই তাকে জরিমানা করবে। তবে পুলিশ দিল্লিতে এই মিছিলের অনুমতি দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কৃষক নেতাদের একাংশের আশঙ্কা, এই মিছিল থেকে হিংসা ছড়ালে, তাকে হাতিয়ার করে ভোট মিটে যাওয়ার পরে কেন্দ্র দিল্লির সীমানা থেকে আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকলে সরকার যে নড়েচড়ে বসবে না, তা-ও বুঝতে পারছেন কৃষক নেতারা। তাঁদের এক জন বলেন, সংসদ অভিযানের আগে ১০ এপ্রিল দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় কুন্ডলী-মানেসর-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়ে ২৪ ঘণ্টা অবরোধ করবেন কৃষকরা।