সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের অবস্থান। ছবি: পিটিআই।
কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কাল, মঙ্গলবার ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনগুলি। রাজ্যের দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তি সিপিএম এবং কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সনিয়া গাঁধী যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে ধর্মঘটে সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু দেশের একমাত্র বাম-শাসিত রাজ্য কেরলে এ বারের ধর্মঘট হচ্ছে না। কারণ, ওই দিন থেকেই দক্ষিণী এই রাজ্যে শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত ও পুর নিগম-সহ স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন।
কেরলে তিন পর্বে স্থানীয় প্রশাসনের ভোট হবে ৮, ১০ ও ১৪ ডিসেম্বর। বিভিন্ন জেলার পঞ্চায়েতের শীর্ষ ও তৃণমূল স্তর ছাড়াও তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লম, ত্রিশূর, কোচি, কোঝিকোড় ও কান্নুর পুর-নিগমের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনও রয়েছে এর সঙ্গে। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে এই ভোটের দিকে নজর রয়েছে রাজ্যের গোটা রাজনৈতিক শিবিরেরই। কৃষকদের ডাকা ধর্মঘটের দিন নির্বাচনের নির্ঘণ্টের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় কাল রাজ্য জুড়ে কৃষি আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছে শাসক এলডিএফ এবং বিরোধী ইউডিএফ। বিজেপি প্রত্যাশিত ভাবেই ধর্মঘটের বিরোধিতা করছে। কেরল সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদক এ বিজয়রাঘবন বলছেন, ‘‘ভোটের কাজেই এলডিএফের কর্মীদের ৮ তারিখ ব্যস্ত থাকতে হবে। তার কয়েক দিনের মধ্যে পরবর্তী পর্বের ভোট। তাই কেন্দ্র-বিরোধী কিছু বিক্ষোভ কর্মসূচি করে আমরা কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাব।’’
কৃষক সংগঠন ‘কেরল কর্ষক সঙ্ঘম’-এর রাজ্য সম্পাদক কে এন বালাগোপাল এবং ‘কর্ষক কংগ্রেস’-এর রাজ্য সভাপতি লাল ভার্গিস কল্পকাবাডির বক্তব্য, নির্বাচনের দিন মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই তাঁরা সে দিন অবরোধের মতো কর্মসূচি নেবেন না। কংগ্রেস-শাসিত ইউডিএফ-ও জানিয়েছে, ভোটের কাজ সেরেই তাদের কর্মীরা কৃষি-প্রশ্নে প্রতিবাদে শামিল হবেন।
আরও পড়ুন: আরজিসিবি-তে সঙ্ঘ নেতার নামে ক্ষুব্ধ বিজয়ন
আরও পড়ুন: কালকের ভারত বন্ধ ঘিরে ঐক্যের চেষ্টা ছত্রভঙ্গ বিরোধী শিবিরের
শুধু আন্দোলনই নয়, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনাও নিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। রাজ্যের আইন দফতর সরকারি প্রস্তাব বিবেচনা করে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়া এবং রাজ্যে বিকল্প আইন করা— দুই রাস্তাই খোলা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতায় আগেই প্রস্তাব পাশ হয়েছে কেরলের বিধানসভায়।