ছবি: সংগৃহীত।
কৃষকদের কাছে ‘পৌঁছতে’ চেষ্টায় খামতি রাখছে না বিজেপি। শুক্রবার পিএম-কিসান প্রকল্পের অর্থ বিলির অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান বোঝাতে সেই মঞ্চ সদ্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে মোদী সরকারের সামনে। তার আগে বিজেপি-র তরফে যাবতীয় প্রস্তুতি তুঙ্গে। জায়ান্ট স্ক্রিনে মোদীর ভাষণ প্রচারের ব্যবস্থা, ভাষণের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-বিধায়কদের উপস্থিতির নির্দেশ, স্থানীয় ভাষায় অসংখ্য লিফলেট বিলি, ব্লকে ব্লকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি— সবই রয়েছে বিজেপি-র পরিকল্পনায়। এই আবহে বৃহস্পতিবার কৃষকের কাছে ফের আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রক। যদিও কৃষকদের দাবি, ওই আহ্বান বিজেপি সরকারের প্রচারের অঙ্গমাত্র।
মোদী সরকারের তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে মাসখানেক ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্র এবং কৃষকদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাতেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। দিল্লির সীমানায় সিংঘু, তিকরি এবং গাজিপুর এলাকায় আন্দোলনরত কৃষকেরা নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন। এই আবহে শুক্রবার ৯ কোটি কৃষক পরিবারের মধ্যে পিএম-কিসান প্রকল্পের অর্থ বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনাও করবেন তিনি। শুক্রবারই কেন্দ্রের আলোচনার আহ্বানের উত্তর দিতে পারে কৃষক ইউনিয়নগুলি। যদিও কৃষক ইউনিয়নগুলির দাবি, সরকার এমন এক আবহ তৈরি করতে সচেষ্ট যেন কৃষকেরা আলোচনায় আগ্রহী নন। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন। যে দিনটি ‘সুশাসন দিবস’ হিসেবে পালন করে মোদী সরকার।
মোদীর ভাষণ ঘিরে আগে থেকেই তোড়জোড় সারা বিজেপি-র। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার নির্দেশে, প্রতিটি ব্লকে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে মোদীর ভাষণের প্রচার করা হবে। সেই সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে প্রত্যেক জেলা স্তরে, কিষান মান্ডিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রয়েছে স্থানীয় ভাষায় লেখা লিফলেট বিলির ব্যবস্থা। এই লিফলেটে কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝানো হয়েছে। বিজেপি-র মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করাও উপস্থিত থাকবেন মোদীর ভাষণ শুনতে।
আরও পড়ুন: বিরোধী হলে সন্ত্রাসবাদী ভাগবতও, তোপ রাহুলের
আরও পড়ুন: নভেম্বরের বিল থেকে সিইএসসি-র বকেয়া অঙ্ক মেটাতে হবে ১০ কিস্তিতে
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত থাকবেন দিল্লির মেহরৌলিতে কিসানগড় গোশালায়। সেখানেও কৃষকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠছে, এত কিছুর পরেও ২৮ দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে কি কোনও রফাসূত্র বার হবে? এই আবহে শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে কৃষকদের কী বার্তা দেন, সে দিকেই উৎসুক নজর থাকবে সকলের।