চলতি আন্দোলনের ফলে বিজেপির পিছন থেকে সরে এসেছে কৃষক সমাজের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত।
কৃষি আইন প্রত্যাহার না-হলে কৃষক আন্দোলন এ বার দিল্লির সীমানা ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আজ কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাহুল গাঁধী। পাল্টা আক্রমণে আজ বিজেপি রাহুলের বিরুদ্ধে দেশে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলল। বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানির অভিযোগ, “শান্তির ডাক দেওয়ার বদলে দেশ জুড়ে অশান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত করছেন কংগ্রেসের ওই নেতা।”
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন হওয়া যাবতীয় গন্ডগোলের পিছনে রাহুল গাঁধীর হাত ছিল বলে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি নেতৃত্ব। আজ জবাবে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খোলেন রাহুল। তিনি বলেন, “সরকার যদি ভেবে থাকে কৃষকেরা এর পর বাড়ি ফিরে যাবেন, তা হলে ভুল ভাবছে। অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান না হলে এই আন্দোলন বরং দেশের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে। সরকারের উচিত আলোচনা করে দ্রুত কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া। কৃষকেরা ক্ষুব্ধ, কারণ সরকার তাদের জীবিকায় আঘাত করেছে। আগামী দিনে ফসলের দাম যখন আকাশ ছোঁবে তখন মধ্যবিত্ত সমাজ ধাক্কা খাবে। এর পর যুব সমাজ সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামবে।” চলতি আন্দোলনের ফলে বিজেপির পিছন থেকে সরে এসেছে কৃষক সমাজের একাংশ। কিন্তু কংগ্রেস গোড়া থেকেই কৃষকদের পাশে রয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাহুল বলেন, “আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত এক ইঞ্চি জমি আপনারা ছাড়বেন না। কংগ্রেস আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।” যদিও আজ বিজেপির পাল্টা দাবি, আর্থিক সমীক্ষায় ওই তিনটি কৃষি আইনকে কৃষি ক্ষেত্রের উন্নতির অন্যতম দাওয়াই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাহুলের উচিত রিপোর্টটি ভাল করে পড়া।
প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় হওয়া হামলা আসলে সরকারের পরিকল্পিত চাল ছিল বলেই আজ ইঙ্গিত দিয়েছেন রাহুল। তাঁর প্রশ্ন, “লালকেল্লায় পৌঁছে যাওয়া কৃষকদের কেন আটকাতে ব্যর্থ হল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক? কেন দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লালকেল্লার ভিতরে যেতে দিল? এই প্রশ্ন তো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা উচিত!” পাল্টা জবাবে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘‘কেবল আইনশৃঙ্খলা অবনতি নয়, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তেরঙার অপমান করে, দেশকে টুকরো টুকরো করার কথা বলে, রাহুল তাঁদের সমর্থনে সরব। অথচ, যে তিনশো পুলিশ আহত হলেন, তাঁদের সমবেদনা জানানোর প্রশ্নে তিনি নীরব।’’