সিংঘু সীমানায় কেজরীবাল। ছবি—পিটিআই।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের ধর্না ১২ দিনে পড়ল। সিংঘু-সহ দিল্লি-হরিয়ানার সীমানার বেশ কয়েকটি জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। সিংঘুতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে সোমবার সেখানে গেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সেখানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন কৃষক আন্দোলনে তাঁর দলের সমর্থনের কথাও।
সিংঘু সীমানায় গিয়ে কেজরীবাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘কৃষকদের সমস্ত দাবি আমরা সমর্থন করি। তাঁদের দাবি ও সমস্যা বৈধ। আমি এবং আমার দল শুরুর দিন থেকেই কৃষকদের আন্দোলনের পাশে রয়েছি। ৯টি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করার জন্য অনুমতি চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। আমার উপরে চাপও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি অনুমতি দিইনি।’’
কৃষক বিক্ষোভের জেরে সিংঘু, অওচাঁদী, পিয়াও মানিয়ারি এবং মঙ্গেশ সীমানা দিয়ে ট্রাফিক চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সাধারণ মানুষকে ওই সব দিকে না যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। কিন্তু কৃষি সংক্রান্ত তিনটি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকরা অনড়।
গত এক সপ্তাহে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছিল কেন্দ্র। সেই সব বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। তার পর মঙ্গলবার ভারত বন্ধের ডাকও দিয়েছেন কৃষকরা। সেই বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে দেশের অধিকাংশ বিরোধী দল। বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকে, এনসিপি, এসপি-র মতো দলগুলি বন্ধের সমর্থনে সরব হয়। বিএসপি এবং শিবসেনাও সমর্থন জানিয়েছে এই বন্ধকে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ও মঙ্গলবারের ভারত বন্ধে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন। কৃষকদের পক্ষ জানানো হয়েছে, তাঁদের আন্দোলনে সব রাজনৈতিক দলই স্বাগত। কিন্তু সেই সব দলের নেতাদের নিজেদের দলের পতাকা ফেলে কৃষকদের পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনে শামিল হতে হবে। সব মিলিয়ে কৃষক বিক্ষোভ ঘিরে বিরোধী ঐক্যে কিছু হলেও ব্যাকফুটে নরেন্দ্র মোদী সরকার।