অরবিন্দ কেজরীবাল। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষক বিক্ষোভ ভিন্ন মাত্রা পেল রবিবার বিকেলে। ৩টি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, তারই অঙ্গ হিসাবে সোমবার কৃষক সংগঠনগুলি অনশনের ডাক দিয়েছে। সেই অনশনকে সমর্থন জানিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও সোমবার অনশনে সামিল হচ্ছেন। একই সঙ্গে তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকদেরও সোমবার সেই অনশন পালন কর্মসূচিতে অংশ নিতে বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কৃষকদের সমর্থনে আগামী কাল (সোমবার) আপ কর্মী এবং সমর্থকদের অনুরোধ করছি এক দিনের অনশনের জন্য। আমি নিজেও অনশন করব।’’
এরই মধ্যে পঞ্জাব পুলিশের ডিআইজি (প্রিজন) লক্ষ্মীন্দ্র সিংহ জাখর কৃষকদের বিক্ষোভ সমর্থন করে চাকরিতে ইস্তফা দিলেন। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি চাকরি করলে এই বিক্ষোভ সমর্থন করা যায় না। কিন্তু, সর্বতোভাবে কৃষকদের এই আন্দোলন সমর্থন করছি। যে কারণে চাকরিতে ইস্তফা দিলাম।’’
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে জট কাটাতে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। সূত্রের খবর, বিজেপি-র অন্দরেও কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে চাপ বাড়ছে। শনিবার নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইনের সমর্থনে জোরদার সওয়াল করলেও কৃষকরা তাকে পাত্তা দেননি। তবে, কেজরীর অনশন সমর্থন এই আন্দোলনে বাড়তি মাত্রা দেবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘দেশের অর্ধেক মানুষ যেখানে অভুক্ত, তখন নতুন সংসদ ভবন কিসের জন্য?’, মোদীকে প্রশ্ন কমল হাসনের
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বিজেপি সভাপতি নড্ডা, গেলেন নিভৃতবাসে
কৃষকদের এই আন্দোলনকে আগাগোড়া সমর্থন করেছেন কেজরী। দিল্লি-হরিয়ানার সীমানায় বিক্ষোভ পরিদর্শনেও যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই গত সোমবার সিঙ্ঘু সীমানায় যান কেজরী।সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘কৃষকদের সব রকম দাবিকে সমর্থন করি। ওঁদের এই বিক্ষোভের পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমি এবং আমাদের দলের নেতারা প্রথম থেকেই কৃষক নেতাদের পাশে আছি।’’
এর পরই কেজরীকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ করেন আপ নেতারা। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দেয়, তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়নি।