ফাইল চিত্র।
কৃষি আইন সংশোধনের প্রস্তাব ফের ফিরিয়ে দিলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। সেই সঙ্গে আবারও জানিয়ে দিলেন, সংশোধন নয়, কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে।
বুধবার কৃষক সংগঠনগুলির কাছে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠায় কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, নতুন কৃষি আইন নিয়ে সরকার সব রকম ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, কৃষকদের কথা ভেবে আইন সংশোধন করতেও রাজি তারা। কিন্তু কেন্দ্রের দেওয়া এই প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দেন কৃষকরা। সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেন, তাঁদের দাবি না মানলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার কথাও জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো।
সরকারের প্রস্তাব আসার আগেই আজ সকালে সিঙ্ঘু সীমানায় বৈঠক করে কৃষক সংগঠনগুলো। যত ক্ষণ না কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে, তত ক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেন কৃষকরা। এক কৃষক নেতার কথায়: আইনের সংশোধন নয়, আমরা চাই আইন প্রত্যাহার করুক সরকার।
আরও পড়ুন: কে বলেছে ধনী কৃষকদের আন্দোলন? গরিবরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত: সাক্ষাৎকারে কৃষক নেতা রাকেশ
সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসে কৃষক সংগঠনগুলি। সেখানেও আইন সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয় কৃষকদের। কিন্তু তাতে বরফ গলেনি। কোনও সমাধান সূত্রও বেরোয়নি। এর আগেও বেশ কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে সরকারের সঙ্গে। প্রথম দিকে সরকার অনড় ছিল কোনও ভাবেই কৃষকদের দাবি মানা হবে না। অন্য দিকে কৃষকরাও তাঁদের দাবিতে অটল থাকায় বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
যত দিন গড়িয়েছে বিষয়টি নিয়ে ক্রমশ চাপ বেড়েছে সরকারের উপর। শেষমেশ নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে আইন সংশোধনের বিষয়টিতে রাজি হয় কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে তাঁরা যে রাজি নয়, সেটা সাফ জানিয়ে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলো। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে কৃষকরা আরও বড় আন্দোলনের হুমকি দেওয়ায় আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।