ফাইল চিত্র।
কৃষি আইন নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে এ বার পথে নামল কেন্দ্র। এই আইন নিয়ে যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ চলছে, সেটা দূর করতে সরকার ৮ পাতার একটি চিঠি প্রকাশ করল। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে কৃষকদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতেও রাজি বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনদের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের লেখা ওই চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে এই চিঠি পৌঁছনো যায় সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে কেন্দ্র। স্থির হয়েছে, এই আইনের সুফল নিয়ে দেশ জুড়ে ৭০০টি জেলায় প্রচার চালানো হবে।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চিঠি নিয়ে টুইট করে বলেছেন, ‘নরেন্দ্র তোমর কৃষক ভাইবোনেদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমার আবেদন সকলে এই চিঠি পড়ুন।’
কেন্দ্রের প্রকাশিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার কৃষকদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের কোনও অ্যাজেন্ডা-কে ঠাঁই দেওয়া হবে না। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিরোধীরা এই আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছে।
ওই চিঠিতে কৃষকদের আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে তাঁরা যে আশঙ্কা করছেন, তেমন আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। শুধু তাই নয়, এই আইনের ফলে কৃষকদের মধ্যে জমি নিয়ে যে ভীতি তৈরি হয়েছে সেটাও দূর করার একটা চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। জমি কৃষকদেরই থাকবে। এক ইঞ্চি জমিও তাঁদের কাছ থেকে কেড়ে নেবে না সরকার।
বিরোধীরা বলছেন, সরকার যে চিঠি প্রকাশ করেছে তাতে নতুন কোনও প্রস্তাব নেই। সুরাহার কোনও দিশা নেই।
কৃষক আন্দোলনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এত বার আলোচনার পরও যখন সমস্যা মেটেনি, তখন কৃষক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা গঠন করা হোক। প্রধান বিচারপতি এএস বোবদে বলেন, “একটা নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করার কথা ভাবা হচ্ছে। যে কমিটি দু’পক্ষের দাবি এবং অভিযোগ সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।”