ফাইল চিত্র।
দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে খবর করার সময় দুই সাংবাদিককে আটক করে সমালোচনার মুখে দিল্লি পুলিশ। শনিবার রাতের ঘটনা। আটক দুই সাংবাদিক হলেন মনদীপ পুনিয়া এবং ধর্মেন্দ্র সিংহ। সাংবাদিকদের আটকের ঘটনার পর থেকেই টুইটারে #রিলিজমনদীপপুনিয়া ট্রেন্ড হতে শুরু করে। ধর্মেন্দ্র সিংহকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, পুনিয়াকে রাতভর সময়পুর বদলি থানায় আটক করে রাখা হয়। রবিবার সকালে তাঁকে তিহাড় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পেশ করা হয়।
এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সিঙ্ঘুতে মোতায়েন পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। সাংবাদিকদের আটকের ঘটনা নিয়ে যখন চার দিকে রব উঠেছে, চুপ করে থাকেননি কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও। সাংবাদিকদের উপর দিল্লি পুলিশের ‘কঠোর মনোভাব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। টুইট করে তিনি দিল্লি পুলিশের ভূমিকার পাশাপাশি কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন। রাহুল বলেন, ‘যারা সত্যকে ভয় পায়, তারাই সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে’।
গত ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর র্যালির সময় এক কৃষকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, সেই মৃত্যু নিয়ে মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর এবং বেশ কয়েক জন সাংবাদিক। এই অভিযোগে শনিবারই শশী তারুর-সহ বেশ কয়েক জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘অভিযুক্তরা বিক্ষোভকারীদের হিংসায় ইন্ধন জোগাতে কৃষকের মৃত্যু নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছেন। তাঁরা কৃষকের মৃত্যুকে এমন ভাবে দেখাতে চাইছেন যে, ওই দিন দিল্লি পুলিশের কারণেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।”
কৃষক আন্দোলনের খবর করতে যাওয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ করা হচ্ছে তার নিন্দা করেছে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। একই সুর শোনা গিয়েছে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া-র প্রধান আনন্দ সহায়ের কণ্ঠেও।