ছবি: সংগৃহীত।
পাঁচ বছরের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ, কখনও ফসলের দাম না-পেয়ে, কখনও দেনার দায়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন চাষিরা।
পাঁচ বছরে ভারতকে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন ফেরি করছে সরকার। অথচ, কৃষিতে ২% বৃদ্ধির মুখ দেখতেই হিমশিম। শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই প্রথম বর্তমান বাজার দরের ভিত্তিতে হিসেব করা কৃষির বৃদ্ধির হারও নিম্নমুখী। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কর্পোরেট করে বিপুল ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। অথচ চাষির হাতে টাকা না-থাকায় চাহিদার ভাটায় ধুঁকছে গ্রামীণ অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে কৃষির হাল ফেরানোর এক গুচ্ছ দাবিতে ৮ জানুয়ারি গ্রামীণ ভারত বন্ধের ডাক দিল সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি (এআইকেএসসিসি)।
ভি এম সিংহ, হান্নান মোল্লা, থেকে শুরু করে মেধা পাটেকর— এই মঞ্চের সব নেতারই অভিযোগ, একে চাষিদের হাল খারাপ। তার উপরে তাঁদের সমস্যায় নজর দিচ্ছে না সরকার। এম এস স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ মেনে চাষের প্রকৃত খরচের অন্তত দেড় গুণ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঘোষণা করা হয়নি। গত তিন বছরে সারা দেশে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম গোনার পরেও ফসল বিমার টাকা দিতে চাইছে না সংস্থাগুলি। চাষিদের ঋণ মকুবেও দিল্লির আপত্তি।
আরও পড়ুন: আপত্তি সত্ত্বেও নাগরিকত্ব বিলে অনড় অমিত শাহ
৮ জানুয়ারি আগেই শিল্প ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিএমএস বাদে বাকি সব শ্রমিক সংগঠন। এর সঙ্গে সব ছাত্র সংগঠনকেও ওই বন্ধে শামিল হওয়ার ডাক দিয়েছে এআইকেএসসিসি। তবে তারা জানিয়েছে, দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে রবিবার রামলীলা ময়দানে কংগ্রেসের প্রতিবাদসভায় যোগ দিচ্ছে না তারা। ৮ জানুয়ারির বন্ধেও কোনও রাজনৈতিক দলকে যোগ দিতে তারা আমন্ত্রণ জানায়নি বলে মঞ্চটির দাবি।