—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বৃদ্ধি-সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে লাগাতার আন্দোলন করছে পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি। তারই অঙ্গ হিসেবে আগামী ৪ জানুয়ারি পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় খানৌরিতে ‘কিসান মহাপঞ্চায়েত’-এর ডাক দিয়েছে তারা। কৃষক আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, অবিলম্বে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসুক নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চা আজ বৈঠকে বসেছিল আন্দোলনের পরবর্তী ধাপের সিদ্ধান্ত নিতে। সেখানে সর্বসম্মতিতে ঠিক হয়েছে, আগামী ৪ জানুয়ারি পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায় কেন্দ্র বিরোধী কিসান মহাপঞ্চায়েত হবে। কৃষক নেতা অভিমন্যু কোহার বলেন, “খানৌরি সীমানায় কিসান মহাপঞ্চায়েত হবে। এই সংগঠনের নেতৃত্ব ওই দিন মহাপঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকবেন।’’ গত ২৬ নভেম্বর থেকে খানৌরি সীমানায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল। সেই জন্য খানৌরিকে মহাপঞ্চায়েত স্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। অভিমন্যুর কথায়, “জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল আমাদের অনুরোধ করেছিলেন, তিনি সেই সব কৃষকদের দেখতে চান, যাঁরা ৪৪ বছর ধরে দেশের সেবা করে চলেছেন। ওঁর শরীর একেবারেই ভাল নয়। উনি অন্যত্র যেতে পারবেন না। তাই আমরা খানৌরিতে মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করেছি।”
সম্প্রতি ডাল্লেওয়ালকে হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়েছে পঞ্জাব সরকার। পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল গুরমিন্দর সিং বলেছেন, একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠিত হয়েছে এবং আট জন চিকিৎসকের একটি দল ডাল্লেওয়ালের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছে। অভিমন্যু আজ বলেন, “আমরা গান্ধীবাদী নীতিতে অটল থাকব। ডাল্লেওয়ালকে সরকার জোর করে সরিয়ে দেবে কি না, সেটা তাদের ব্যাপার।” ডাল্লেওয়াল জীবনের বাজি রেখে লড়ছেন এবং কৃষকেরা জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, বলেন অভিমন্যু। এই পরিস্থিতিতে কিসান মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে এগিয়ে আসার জন্য আমজনতাকে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, ন্যায্য দাবিতে লড়ছেন কৃষকেরা। আজকের পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী কেন্দ্র। কৃষকদের দাবিগুলি সম্পর্কে সরকার উদাসীন। অবিলম্বে কৃষক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসুক সরকার।