Farmer Bill

কৃষি-বিক্ষোভে রাজ্যে হাইওয়ে অবরোধের ডাক

অমলবাবুদের অভিযোগ, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত থাকবে বলে কেন্দ্র আশ্বাস দিলেও তাদেরই গঠিত শান্তা কুমার কমিটি রিপোর্টে বলেছে, মাত্র ৬% কৃষক সহায়ক মূল্যের সুবিধা পান! এফসিআই এবং নাফেডের মাধ্যমে শস্য সংগ্রহও তারা বন্ধ করে দিতে চায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:১৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

কৃষি সংক্রান্ত সব বিল সংসদে পাশ করিয়ে নিচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার, তার বিরোধিতায় আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সর্বাত্মক প্রতিবাদের ডাক দিল কৃষক সংগঠনগুলি। ওই দিন ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়ে রেখেছে কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। তাদের দাবি, হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ কিছু রাজ্যে সর্বাত্মক বন্‌ধ হবে। অন্য রাজ্যগুলিতে বিক্ষোভ হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে ২৫ তারিখ বাংলায় জাতীয় ও রাজ্য সড়কে চার ঘণ্টা করে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কিষাণ সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কৃষক সভার নেতা অমল হালদার রবিবার ঘোষণা করেছেন ২৫ তারিখ বিক্ষোভের কর্মসূচি। তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন গ্রামীণ জেলাগুলিতে গঞ্জ ও বাজার এলাকায় প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ-সভা হবে। তার পাশাপাশি জাতীয় ও রাজ্য সড়কে (হাইওয়ে) দুপুরে অবরোধেও শামিল হবেন কৃষক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা। বাংলায় ওই প্রতিবাদে কংগ্রেসও যে সঙ্গী হওয়ার ঘোষণা করেছে, তাকে স্বাগত জানিয়ে অমলবাবু এ দিন বলেছেন, ‘‘ছাত্র, যুব সমাজ, শ্রমজীবী-সহ সব ধরনের মানুষের কাছে আবেদন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিলগুলির প্রতিবাদ করুন। দেশের কৃষক সমাজকে বাঁচাতে এই প্রতিবাদ জরুরি।’’

অমলবাবুদের অভিযোগ, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত থাকবে বলে কেন্দ্র আশ্বাস দিলেও তাদেরই গঠিত শান্তা কুমার কমিটি রিপোর্টে বলেছে, মাত্র ৬% কৃষক সহায়ক মূল্যের সুবিধা পান! এফসিআই এবং নাফেডের মাধ্যমে শস্য সংগ্রহও তারা বন্ধ করে দিতে চায়। তাঁদের আরও দাবি, এ রাজ্য থেকে কৃষক আত্মহত্যার কোনও তথ্য দেওয়া হয় না বলেই কেন্দ্র সংসদে জানিয়েছে, বাংলায় কৃষক আত্মহত্যার খবর নেই। কিন্তু তাঁরা ২২৩ জন আত্মঘাতী কৃষকের নাম-ঠিকানা দিয়ে সেখানে গিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁজ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন।

Advertisement

সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহুও এ দিন বলেছেন, দেশ জুড়ে ২৫ তারিখ রেল, রাস্তা রোকোর যে সব কর্মসূচি কৃষক সংগঠনগুলি নিচ্ছে, তাকে সমর্থন জানাচ্ছে সিটু, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি, ইউটিইউসি-সহ বিভিন্ন শ্রমিক ও কর্মচারী সংগঠন। কলকাতায় ওই দিন বিকালে শ্রমিক, কর্মচারী, ছাত্র, যুব, মহিলা, শিক্ষক সংগঠন ও বস্তি ফেডারেশনকে নিয়ে ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন অনাদিবাবুরা। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে পা না মেলালেও কৃষি সংক্রান্ত বিলের প্রতিবাদে নেমেছে শাসক তৃণমূলও। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে এ দিনও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিল কৃষি বিলের প্রসঙ্গ। দলের সাংসদ ও আইএনটিটিইউসি নেত্রী দোলা সেনের বক্তব্য, ‘‘দেশের কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থরক্ষা করতে হলে এই বিল মানা যায় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement