চলছে কৃষকদের প্রতিবাদ। ছবি: পিটিআই
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলতি আন্দোলনের মধ্যেই ফের ঘটে গেল আত্মহত্যার ঘটনা। সিংঘু সীমান্তে আত্মহত্যা করলেন পঞ্জাবের ফতেগড় সাহিবের বাসিন্দা ৪০ বছরের অমরেন্দ্র সিংহ। দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে এর আগেও একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই আইন প্রত্যাহারের দাবি জড়িয়ে গিয়েছে আত্মহত্যার সঙ্গে।
এ বারেও তাই ঘটেছে। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার আগে অমরেন্দ্র তাঁর বন্ধুদের জানিয়েছেন, সরকার প্রতিবাদরত কৃষকদের দাবি না শোনার জন্যই তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি আত্মঘাতী হলে সরকার নরম হয়ে কৃষকদের কথা শুনতেও পারে, এমনটাই আশা করেছিলেন তিনি।
বিষ খাওয়ার পরেই মৃতপ্রায় অমরেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেহ। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখনও অমরেন্দ্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে প্রতিবাদরত কৃষকদেরই দেহ তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল সিংঘু সীমান্তে। গত সপ্তাহেই দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে ৭৫ বছরের এক কৃষকের দেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের কাশ্মীর সিংহের দেহের পাশে পাওয়া যায় একটি নোট। সেখানে লেখা ছিল, ‘আর কত দিন ঠান্ডায় আমাদের বসে থাকতে হবে? সরকার একেবারেই আমাদের কথা শুনতে চাইছে না। আমি আত্মঘাতী হচ্ছি যাতে একটা সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে।’
নভেম্বর মাসে কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকজন কৃষকের আত্মহত্যার খবর এসেছে। পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ চালাচ্ছেন কৃষকরা। তাঁরা বারবার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও সমাধান সূত্র মেলেনি। কৃষকরা এখনও কৃষি আইন প্রত্যাহার-সহ তিনটি দাবিতে অনড় রয়েছেন। সরকারও তার অবস্থান থেকে সরেনি। কথা আছে, ২৬ জানুয়ারি কুচকাওয়াজে ট্রাক্টর নিয়ে প্রবেশ করবেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: টুইটারে মোদীকে আক্রমণ, পাইলটকে বহিষ্কার করল গোএয়ার
আরও পড়ুন: ভোপালে আত্মঘাতী তরুণী, ‘লভ জিহাদ’-এর অভিযোগ পরিবারের