—ফাইল চিত্র।
দফায় দফায় বৈঠকের পরও বার হয়নি সমাধানসূত্র। বরং রাজধানীর উপকণ্ঠে কৃষক আন্দোলন দেড় মাস গড়াতে চলেছে। এমন অবস্থায় দলের অবস্থান ঠিক করতে জরুরি বৈঠক করলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর তাতে নেতৃত্ব দিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। সেখানে দলীয় নেতৃত্বকে তিনি জানিয়ে দিলেন, আর পিছন থেকে নয়, বিরোধী দল হিসেবে এ বার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে তাঁদের। বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার ব্যাতীত কেন্দ্রের কোনও ব্যাখ্যাই কানে তোলা হবে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইনকে গোড়া থেকেই ‘কৃষক বিরোধী আইন’ বলে উল্লেখ করে আসছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি মোদী সরকারের আচরণ নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলে আসছেন রাহল গাঁধী। কিন্তু অসুস্থ দিদার পাশে থাকতে এই মুহূর্তে দেশের বাইরে তিনি। শরীর ভাল না থাকায়, শনিবার বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি সনিয়া গাঁধীও। তাঁদের অনুপস্থিতিতে প্রিয়ঙ্কাই বৈঠকের দায়িত্ব সামলান।
প্রিয়ঙ্কা নিজেও কৃষি আইনের বিরোধিতায় দীর্ঘদিন ধরে সরব। তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের চেয়ে মোদী সরকারের কাছে নিজেদের অহংই বড়। তাই ‘রাজধর্ম’ পালন না করে নিজেদের দম্ভ বজায় রেখে চলেছে তারা। স্বাধীন ভারতে এর আগে এত অহংকারী সরকার কখনও আসেনি বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় তাই নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করার পক্ষপাতী তিনি।
আরও পড়ুন: মোদীর নেতাজি কমিটিতে সৌরভ, মমতা-বুদ্ধদেব, মিঠুন-কাজল
আরও পড়ুন: ১৩ নয়, ১৬ তারিখ থেকে দেশে করোনা টিকাকরণ শুরু হচ্ছে, জানাল কেন্দ্র
প্রিয়ঙ্কার এই অবস্থানে খুশি কংগ্রেসের একাংশও। কারণ কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করলেও, এত দিন সেই অর্থে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় দেখাই যায়নি কংগ্রেসকে। আইন প্রত্যাহারের সমর্থনে ২ কোটি মানুষের সই জোগাড় করে রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিলেও, কেন্দ্রের উপর চাপসৃষ্টি করতে পারেনি তারা। তাই প্রিয়ঙ্কা হাত শক্ত করলে, কৃষক আন্দোলনে কংগ্রেসের সক্রিয় যোগদান বাড়বে বলে মনে করছেন দলের নেতারা।