কেরল বিধানসভা। ফাইল চিত্র।
মোদী সরকারের তিন কৃষি আইনকে নাকচ করে দিতে পঞ্জাব সরকার বিধানসভায় বিল পাশ করালেও তাতে শুধু চাল ও গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যই (এমএসপি) নিশ্চিত করা হয়েছে। পঞ্জাব সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কৃষক সংগঠনগুলির প্রশ্ন, চাল-গম ছাড়া জোয়ার-বাজরা বা অন্যান্য ফসলে চাষিদের জন্য এমএসপি কী ভাবে নিশ্চিত করা হবে? এই সব ফসল সরকার কেনেও না।
কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা আজ বলেন, “শুধু এমএসপি পেলে চাষিদের লাভ হবে না। ফসলের প্রক্রিয়াকরণের পর বাজারে যে মুনাফায় তা বিক্রি হয়, তার একাংশও চাষিদের হাতে তুলে দিতে হবে। তার জন্য মোদী সরকারের উচিত কর্পোরেট নির্ভর চাষের বদলে আমূলের মতো চাষিদের সমবায় তৈরিতে জোর দেওয়া।”
সিপিএম সূত্রের খবর, পঞ্জাবের বিলের এই ফাঁকফোকরগুলি পূরণ করে কেরল সরকার নিজস্ব কৃষি বিল নিয়ে আসার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। তাতে সমবায় তৈরি করে চাষিদের হাতেই ফসল উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, বিপণনের উপরে জোর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিহার জয়ে টিকা-টোপ বিজেপির
মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পঞ্জাব-হরিয়ানা-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে চাষিদের বিক্ষোভ হচ্ছে। পঞ্জাব বিল আনায় হরিয়ানার বিজেপির জোট সরকারের উপরে চাপ তৈরি হয়েছে। হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুশ্যন্ত চৌতালা আজ তাই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেছেন, “চাষিদের ধোঁকা দেবেন না। বিল আনতে হলে এমএসপি-র কমে যে সব ফসল বিক্রি হচ্ছে, তার জন্যও বিল আনুন।”