কাজ নেই! ত্রিপুরায় আত্মঘাতী একই পরিবারের চার জন 

স্থানীয়দের কাছে খোঁজ খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মানিকবাবুরা অভিযোগ করেছেন, গোটা ত্রিপুরায় অরাজকতা চলছে। কাজ ও খাদ্যের অভাব চার দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

আত্মহত্যা করেছেন এক পরিবারের চার জন। তার সূত্র ধরে ত্রিপুরায় কাজের অভাব ও চড়া সুদে বেসরকারি সংস্থার ঋণের বিরুদ্ধে সরব হল সিপিএম।

Advertisement

ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার পূর্ব চানপুর এডিসি ভিলেজের সন্ন্যাসীমুড়ার ঘটনা। পেশায় দিনমজুর পরেশ তাঁতি শনিবার বাড়ির তিন জনকে নিয়ে আত্মঘাতী হন সেখানে। প্রাথমিক ভাবে উঠে আসে দারিদ্র ও ঋণের বোঝার কথা। বিজেপি-আইপিএফটি জোটের সরকার অবশ্য অভাবের তাড়নায় মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে। এই অবস্থায় আজ সন্ন্যাসীমুড়ার পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে যান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, সিপিএমের আরও দুই বিধায়ক সুদন দাস ও রতন ভৌমিক, স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য পরীক্ষিত মুরা সিংহ।

স্থানীয়দের কাছে খোঁজ খবর নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মানিকবাবুরা অভিযোগ করেছেন, গোটা ত্রিপুরায় অরাজকতা চলছে। কাজ ও খাদ্যের অভাব চার দিকে। এলাকার লোকজন ও পরেশ তাঁতির শাশুড়ি অঞ্জনা তাঁতির সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন, কাজ না-পাওয়ায় অনাহারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পরিবারে। সে কারণেই চরম পথ বেছে নেয় পরেশের পরিবার। বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণও নিয়েছিলেন পরেশ। তা শোধ করতে না-পারার যন্ত্রণাও তাঁকে হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মানিকবাবুর আবেদন, রাজ্যে কাজ না-পেয়ে অনাহারে যাতে কারও মৃত্যু না হয়, তার জন্য কর্মসংস্থানে নজর দিক রাজ্য সরকার। রাজ্যে চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে যে সব সংস্থা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক। এক পরিবারের চার জনে আত্মহত্যার কথা জানার পরে সিপিএম গত কালই অভিযোগ করেছিল, বিজেপি-আইপিএফটি জোটের সরকার উৎসবের

Advertisement

আয়োজন করছে সরকারি অর্থের অপচয় করে। এ দিকে সারা রাজ্যে চলছে কাজ ও খাদ্যের আকাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement