— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বন্ধ ঘরে একই পরিবারের চার জনের দেহ উদ্ধার। শীতের হাত থেকে বাঁচতে ঘরে কয়লা পুড়িয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, তার জেরে দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বাবা, মা, ছেলে, মেয়ে। উত্তর দিল্লির উপকণ্ঠে খেড়া এলাকার ঘটনা।
প্রবল শীত দিল্লিতে। রবিবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পুলিশ জানিয়েছে, খেড়ার বাড়িটি ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কয়লা পুড়িয়েছিলেন তাঁরা, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে ‘অঙ্গিথি’। তার জেরেই শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছেন স্বামী, স্ত্রী, তাঁদের সাত এবং আট বছরের দুই সন্তানের। ডিসিপি (আউটার দিল্লি) বি ভারত রেড্ডি জানিয়েছেন, চার জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক দল। কয়লার নমুনা সংগ্রহ করেছে। মনে করা হচ্ছে, দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে চার জনের।
গত মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় একই পরিবারের পাঁচ জনের দেহ মিলেছিল বন্ধ ঘর থেকে। দু’জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা ঘরে কয়লা পুড়িয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ঘরবন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন প্রতিবেশীরা। দরজা না খোলায় ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকেন তাঁরা। খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করে।
বন্ধ জায়গায় কয়লা পোড়ালে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কয়লা পোড়ানোর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড তৈরি হয়। তার জেরে অক্সিজেনের জোগান কমতে থাকে। এই কারণে হতে পারে শ্বাসকষ্ট, এমনকি মৃত্যুও।